বিশ্বের ধর্মীয় মৌলবাদী দেশে
নাই অন্য ধর্মের স্থান;
তাই মাঝে মাঝেই দ্যাখে তাঁরা
সামাজিক সুনামির বান।
মৌলবাদী ওই রাষ্ট্রগুলোয়
শান্তি খুঁজে পাবে?
ধর্মই তাঁদের অস্থির করে
বুঝবে তাহা কবে?
মিলেমিশে থাকতে পারলে
শান্তি আসে দেশে;
কামার কুমার ধোপা নাপিত
তাই থাকে মিলেমিশে।
ধরার ধর্মশালায় মানুষ আসে
ক্ষণকালের জন্য;
অতিথি আপ্যায়নে ত্রুটি হলে
অর্থ হয় তার ভিন্ন।
ধর্মশালা এযে প্রাণের আলা
হেথায় কষ্ট কেন হবে?
ওই স্বর্গসুখ রবে আপ্যায়নে
তবেই তো ধর্মশালা কবে?
অবিভক্ত ভারত ধর্মশালা
বুদ্ধের সময় ছিল;
অনার্যের দেশে আর্য এসে
গোলমাল করে দিল।
অনার্যরা হলো রাক্ষস বানর
আর আর্য হল ঈশ্বর?
ইরানের ঐ অনুপ্রবেশকারীরা
বাড়ালো তাদের দর।
ধর্মশালা এই ভারতবর্ষ ছিল
দর্শন জ্ঞানের ঠাঁই;
বিভাজনেই সব শেষ হলো
সেই ভারত আর নাই।
স্রোতের জলে গা না ভাসিয়ে
যদি উজান পথে চলো;
ফলে কষ্ট হয়তো হবে খানিক
মিলবে দর্শনের আলো।
বৌদ্ধিক ধর্মশালায় বাস করে
কেন বিভাজনের সুর?
ওই চেষ্টা করলে আমরা পারি
করতে তাহা দূর।
৭ই চৈত্র, ১৪৩১,
ইং ২১/০৩/২০২৫,
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬:২০। ২৬৮১,
২৫/৩৬, ২৩/০৩/২০২৫।