মানুষকে মানুষ বলি কারণ মানুষের একটা
ধর্ম আছে। মনুষ্যত্ববোধ এবং মানবিকতা
যে জীবের মধ্যে প্রকট তাকেই আমরা বলি "মানুষ"।

যে জীবের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ এবং মানবিকতা অনুপস্থিত, দেখতে পাই পাশবিকতার উপস্থিতি
তাদেরকেই আমরা "পশু" বলে থাকি।

মানুষ ও পশুর মত শিরদাঁড়া আছে সরীসৃপের
তাই এদেরকেও বলা হয় মেরুদন্ডী প্রাণী।
আর যাদের মেরুদন্ড নাই তাদেরকে বলা হয
অমেরুদণ্ডী প্রাণী অন্যথায় কীটপতঙ্গ বলে মানি।

আদি থেকে বর্তমান পর্যন্ত মিশে আছে
ভালো-মন্দ। মন্দকে পরিত্যাগ করে ভালোর
হাত ধরে এগিয়ে চলছে সৃষ্টির ধারা ক্রম
বিবর্তনের ফলে উন্নত হয়েছে চিত্ত চেতনার।
আমরা পৌঁছেছি এক সন্ধিক্ষণ।
ধারাবাহিকভাবে যাহা ঘটেছিল আদি থেকে
মন্দ হয়ে ভালোর দিকে জ্ঞান-গরীমায় উন্নত
হয়ে। হরপ্পা মহেঞ্জোদারো সেই কৃষ্টি থেকে সৃষ্টি
বর্তমান যুগের এই প্রযুক্তি। মাঝে পেয়েছি বৌদ্ধ যুগের দর্শন। জীব প্রেমের আদর্শ বাণী "
বৌদ্ধং স্মরনং গচ্ছামি"। অতঃপরে ভারতের
ইতিবৃত্তে অনুপ্রবেশ ঘটে ইরান থেকে
পরিত্যাক্ত আর্যদের খন্ডিত অংশের। তাম্রলিপ্ত
থেকে শুরু করে দ্রাবিড়িয় ভাবনায় সমৃদ্ধশালী
হয়ে ভারতের আদি রাজাদের পরাজিত করে
রাজত্ব কায়েম করে । গীতা তাদেরই
কার্যক্রমের এক উপদেশ বাণী। যেমন বাইবেল, কোরআন, ত্রিপিটক, আবেস্তা,আর ও নানান ধর্মগ্রন্থ জানি। তারাই এনেছে মানুষে মানুষে বিভাজন। সৃষ্টি হয়েছে দলমতে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র, আর্যদর্শনে।

সুমতি ভার্গব- ভৃগুমুনি ব্রাহ্মণীয় সংবিধান
রচয়িতা সর্বজন পরিচিত মনু সংহীতা। যে
কৃষ্টির দায় ভারতের জনগণ আজও বয়।
ব্রাহ্মণীয় চিন্তা চেতনা নেয় না তার দায়।
সনাতন চিন্তাধারা যেটা ছিল ভারতে প্রকৃতির
শিক্ষা। কোন ব্যক্তি মতবাদে হয় নাই
যাহা, হয়েছিল প্রকৃতি থেকেই তাহা। সূর্য ওঠে অস্ত যায় জন্ম মৃত্যুর মতো
প্রকৃতির বা সনাতনি ওই শিক্ষাধারায় আমরা
শিখেছি কত। শেখায় প্রকৃতি মোদের সেই
শিক্ষাগুরুর মতো। স্বতঃস্ফূর্ত প্রকৃতির শিক্ষা
যত তাড়াতাড়ি গ্রহণ করা যায় চাপিয়ে দেওয়া
কোন শিক্ষাই তত তাড়াতাড়ি গ্রহনীয় নয়।
শিক্ষার নানান রূপ দেখি আমরা হেথা। কেউ
শেখে- পড়ে, কেউ শেখে- দেখে আর কেউ
শেখে- ঠেকে। অচেতন থেকে চেতনায় এলে
মানুষ রাত্রির পরে দোর খুলো প্রভাতের আলো দেখে।

১০ই আশ্বিন, ১৪৩১,
ইং ২৭/০৯/২০২৪,
শুক্রবার বেলা ১১:২৪। ২৫০৭, ২৩/০৫
২৯/০৯/২০২৪।