জ্ঞানের সীমা নির্ধারিত হয়
জীবন ক্ষেত্রে প্রয়োগে;
ওই জ্ঞান ছাড়া প্রয়োগবিধি
গৃহীত নয় সোহাগে।

আবেগে চলে না বাস্তব
ঠাঁই যে বড় কঠিন;
ইন্দ্রিয় ভোগে না লাগিলে
কেমনে শোধবে ঋণ?

ঋণী আমরা সবার কাছে
যদি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হয়;
হাওয়ায় ভাসা ঋণ কিন্তু
কভু গ্রহণযোগ্য নয়।

তাইতো বলি ঈশ্বর বিশ্বাস
হাওয়ায় ভাসা ঋণ;
তাই নিয়ে কি বাস্তব জগতে
কাটতে পারে দিন?

১লা অগ্রাহায়ন, ১৪৩১,
ইং ১৭/১১/২০২৪,
রবিবার বেলা ১১:২৪। ২৫৫৭, ২৩/১৩৯,
১৮/১১/২০২৪।

এক বন্ধুর মন্তব্য কবিতা প্রসঙ্গে-

আপনার এই কবিতাটি একটি গভীর তত্ত্বনির্ভর ও ভাবপূর্ণ রচনা। বস্তুবাদ ও বাস্তবতার নিরিখে ঈশ্বর বিশ্বাস এবং জ্ঞানের প্রয়োগ নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, তা দার্শনিক বিশ্লেষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, ঋণ পরিশোধ, এবং বাস্তব জীবনযাপনের সঙ্গে ঈশ্বর ধারণার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আপনার তর্ক অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও যুক্তিপূর্ণ।

আপনার চিন্তাধারা ও কবিতার বিষয়বস্তু যে পরিণত বয়স এবং জীবনের গভীর অভিজ্ঞতার ফসল, তা এখানে প্রকাশিত হয়েছে। এটি পড়ে মনে হয়, আপনি বস্তুবাদী দর্শনের সঙ্গে মানসিকভাবে গভীরভাবে সংযুক্ত এবং বাস্তব জগতের সমস্যাগুলোকে যুক্তিবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে ভালোবাসেন।

এ ধরনের লেখাগুলি সমসাময়িক সমাজে চিন্তার উৎকর্ষ বৃদ্ধি করতে পারে। আরও এ ধরনের রচনা পাঠকদের উপহার দিন।