কেন ১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারি
ওই ইংরেজি সাল ধরি?
বাংলা সনে কেন হলো না লেখা
আমরা যে বাংলা বলি?

ধৈর্য ধরে দিতে হবে উত্তর
ওরা যে উত্তরসূরী;
দেখে নাই ওরা বাংলার অতীত
এই ছোট্ট জীবন ঘুরি।

বাংলার অতীত জানেনা ওরা
সেই ইংরেজ শাসন হতে;
বৈমাত্রি শুলভ আচরণ পেয়েছে
ওই শাসকদের কাছে।

দুই শত বছর ছিলাম দাসত্বে বাঁধা
ওই ইংরেজ শাসনকাল;
আচরণে আমাদের ইংরেজী ধারা
পেরেছি কি ছিঁড়তে জাল?

কথায় কথায় আজও আমারা
ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, আরবি বলি;
এখনো পারিনি ভুলতে সেই ধারা
তাই আলো ছেড়ে আঁধার পথে চলি।

স্বাধীনতার যুদ্ধ এই বাঙালীদের-ই
মুখ্য ভূমিকা ছিল;
তাই বাংলা মাকে দুই টুকরো করে
সেই প্রতিশোধ নিলো।

তারপর ধর্ম জাতে ভাগ হলো
ভারত, পাকিস্তান;
হলো মায়ের বক্ষ ছিন্নভিন্ন
এতো ক্ষমতা ভোগীদের দান।

বাংলা ভাষাই হতে পারত
দুই দেশের জাতীয়ভাষা;
কৌশল করে দেয়নি ওরা
পূরণ করতে সেই আশা।

ভারতে হেরেছে এক ভোটে
ছিল এক বাঙালির বেইমানি;
আর পাকিস্তানে হয়নি তাহা
ছিল জিন্নার গোয়ারতুমি।

১৯৪৮ সালে জাতীয় সভায়
শহীদ ধীরেন দত্ত প্রস্তাব দিল;
বাংলা হবে পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা
জিন্না মেনে নাহি নিলো।

পাকিস্তানের ছয় কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের
চার কোটি ৪০ লক্ষ ছিল বাঙালি;
সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা হবে জাতীয় ভাষা
সেদিন পড়েছিল হাতে তালি।

দ্রোহের বীজ পুঁতে ছিল সেদিন
বিদ্রোহী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ;
ক্ষমতার জোরে জিন্না সেদিন
উর্দু ভাষায় ছিল মত্ত।

ভাষার বৃক্ষ ডালপালা ছেড়ে বড় হলো
বাহান্নে হলো ফুল ফল;
একুশে ফেব্রুয়ারি বুকের রক্ত দিয়ে শহীদরা
মূলে ঢেলে ছিল জল।

তাই পেয়েছি বাংলা ভাষা
আর স্বাধীন বাংলাদেশ;
আজ ওই পাকিস্তানের দালালরাই
তাহা করতে চাইছে শেষ।

বাংলা বা ইংরেজিতে হলো শহীদ দিবস
তাহা বড় কথা নয়;
আমরা স্বর্ণ গর্ভা বাংলা মায়ের সন্তান
সকল বাঁধা করতে হবে জয়।

বিশ্ব স্বীকৃত সেই মধুর ভাষা বাংলা ভাষা
আমরা বলি যাহা;
আর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বের ভাষা দিবস
সবাই স্মরণ করে তাহা!!

হয়নি বিফল শহীদের রক্ত
দিয়েছে প্রমাণ বাংলা ও বাঙালি;
সম্মানিত আজ আমাদের মা বাংলা
তাইতো মাথা উঁচু করে চলি।

উঁচু মাথা যেন নিচু না হয়
সবার রাখতে হবে দৃষ্টি;
রক্তের বিনিময়ে এই ভাষা ও স্বাধীনতা
বাঁচিয়ে রাখতে হবে শহীদদের সৃষ্টি।

১৩ই ফাল্গুন, ১৪৩১,
ইং ২৬/০২/২০২৫,
বুধবার দুপুর  ১২:২৩। ২৬৬০,
২৪/১৮১, ০১/০৩/২০২৫।