নিমেষ নাগরা পায়ে গোধূলির বেলা।
হাতের চেটোয় মোছে বোবা অবহেলা
নয়নে মরণ রেখে সাঁঝ বাতি জাগে
দ্বিতীয়ার চাঁদ চোখে ভরা অনুরাগে ।

অপেক্ষা ক্ষীণ দেহ বারণ শোনে না
এলোচুলে নিষেধেরা খোঁপা যে বাঁধে না।
সর্গম বুঝলো না কপালের টিপ
মৃদু হাসি চোখে বলে জ্বালো নি তো দীপ?

            আঁধারের ছাপ ফেলে খেয়ালি খোয়াব
            রাখে মাথা তার কাঁধে চোরা চাহনিরা
           এলো না যে এখনো সে নারাজ রোয়াব
            পথ চেয়ে বসে আছে কবেকার নীরা।



মূক কথা ছাই চেপে দাউ দাউ জ্বলে
আসেনি তো মুখে তারা বেদনার ছলে
বাসনার শাসনে আঁচল ঢেকে ঢেকে
ফিরে গেছে সে কখন প্রাণ শূণ্য রেখে।

মহুয়া নেশার মতো আসক্ত ভিটে
রোদ টুকু সরে গেলে ছায়া ফেলে পিঠে
কাজলের নয় , সে দোষ কলঙ্কের
দোহাই গোপনে রেখে কপালের ফের?

                ক্ষয়ে গেছে মুহূর্ত ঝরে শুক তারা
                আয়নায় মুখ দেখে বেসে ছিল ভালো
                বন্ধ ঠোঁটের দায় নেবে বলো কারা,
                কলঙ্ক ভয় পায়, ভার নেবে আলো।