দিনের পর দিন যে গান দূরে
অমিয় মন্থনে গলা সেধেছে
রাতের পর রাত যে সুরে সুরে
এক আগন্তুক বাঁশি বেজেছে
তার পিছু পিছু
কোন পথে গেল সরে ?
সেই বিস্মিত প্রজাপতি
ফুলেতে জাগায় মধু রতি
কোন সরোবরে ?
কোন সে সাধিকার সম্মোহনে
সপ্তসিন্ধুর লুকোচুরি?
কোন সে যোজনগন্ধার টানে
কস্তুরীর মত বেঘোরে ঘুরি ?
ছুটে যাই কাছে
স্থির হয়ে আছে ধ্যানে
আমার হৃদয় হাতে তার
পলক পড়ে না যেন আর
নেই সজ্ঞানে --
মারওয়া মূর্ছনা চারদিকে
হালকা বুক ভারি, ভীষণ ভারি
হঠাৎ দেখলাম রাগেশ্রীকে
আবেগে সোহাগে নিয়ে জুরি জারি
না ,না বাজিও না
কেন ডাকো এই রাগে?
যেন মৌমাছি গুনগুন
কানে কানে দুঃখিনীর ধুন
মরমে যে লাগে--
তখন মালকোষ ঢেলেছে মদ
পেগের পর পেগ মিয়া কি টোড়ি
এঁকে দেয় বিষাদের প্রচ্ছদ
অসহ্য ! থামো, ফেলে দাও কড়ি।
ঢেউ নাচে ঢেউ
বেদনা চুঁইয়ে উধাও
এ গৎ-এও যে প্রাণ নেই
ঘুমিয়ে আছে আলাপে সেই -
ইমন শোনাও--
শোনাও তিলক, হংসধ্বনি
শোনাও কামোদ, বাজুক দেশ
যাও, চলে যাও সব বিদ্বেষ
চোখ মুছে আমি কাটাবো যামিনী
ওই দুটি হাতে
চর্চিত চরাচর
যেন জ্যোৎস্না মেখে আছে
ভয় হয় ভেঙে যায় পাছে
উদাসিয়া ঘর।
হঠাৎ প্রশান্ত হলো যে মন
এত আলো? অচেনা আলোর ধারা?
একি স্বর্গ সুধার শিহরণ ?
অলোক আনন্দে আত্মহারা।
জোনাকির সুরে
সেই সুর যায় মিশে
মগ্ন তখন ঝিঁ ঝিঁ গানে
ভেসে যায় পৃথিবী প্লাবনে
সুখের হদিসে।