যদি মুখোমুখি বসি
আমি- তুমি ঋষি
অনেক আঁধার পেরিয়ে
সেই সবুজ ঘোমটার তপোবনে
মেনকা নয়, চেয়ে দেখো আমি উর্বশী
সফেদ লিনেনে আমি পূর্ণ শশী।
তুমি সেই লাজুক অর্জুন
নূপুরে নূপুরে বাজিয়েছিলাম ধুন
তবু ধ্যান ভাঙ্গেনি -তুমি ঋষি
চষেছি উষরে সম্মোহনের কৃষি -
আমি উর্বশী।
আমার ছন্দে নাচে মহানন্দা
কাবেরী, কৃষ্ণা আর অলকানন্দা
চেনো আমায় আমি যোজনগন্ধা
মোহের চাবি হাতের মুঠোয় যখন খুশি
আমি উর্বশী ।
আমি ইন্দ্র সভার রাগিনী
আমি অপরাজিতা- কখনো বাগ মানি নি
আমি চঞ্চল-
চকিত চোখের হরিণী
লিখে যাই ভীরু আকর্ষণের কাহিনী
আমি মোহিনী-
রঙ্গিলা রঙ্গিনী
পান করি আমি অমরত্বের বনানী
হাসির ঝোরায় কটাক্ষে আমি সোহিনী
তবু জেনে রেখো---
আমি অভিমানিনী।
ছলাকলা নয় আমি বৃষ্টির পিয়াসী
আমি যৌবন মদির মত্তা
ছেয়ে যাই অধীর সত্তা
খোলো খোলো দ্বার তুমি মহাকাশ
চারিদিকে আজ আমার প্রকাশ ।
জেনো আজ নিশ্চিত পরাজয়
আমার বিভঙ্গে প্রলয়
তুমি ঋষি -
দিলে ছুঁয়ে এলো চুল আগ্রাসী।
তুমি বিশ্বামিত্র, গৌতম ,ঋষ্যশৃঙ্গ
কথায় কথায় অভিশাপ মহাভৃঙ্গ
আমিও স্বর্গের অপ্সরী
মন ও মননে নারী
কোথায় তোমার অহংকারের পৌরুষ ?
এসো, খোঁজো, উদ্বেল নদী উসখুস ।
আমি যোগিনী আমি সাধিকা
আমিই তোমার রাধিকা
আমি ললিতে লাস্যময়ী
আমি পরাগের প্রণয়ী
জয়ের হোলি দু হাতে খেলি
আমি কালের কৃত্তিকা।
রাতের রেয়ন সরিয়ে আমি উষশী
শোনোও.…... ঋষি....
আমি তোমার উর্বশী।