চাবুকে চাবুকে শোণিতে শিরায় কষাঘাত, চেয়ে দেখ তবুও থাকবি চুপ ?
ক্ষয়ের ক্ষমতা, টানাটানি খিদে, চর জাগা মরা কূপ। হায়রে মরণ দশা-
চেহারা শুকিয়ে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ মাজা ঘষা।

ভুরি ভুরি বাহাদুরি-
তলিয়ে যাচ্ছি গভীরে কোথায়? বালির পসরা চুরি!
যত জঞ্জাল মেলা
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিল আমার  মর্ত্য খেলা।

আজও থাকবি চুপ?
আমার শাড়ির বালুচরী পাড়ে জ্বলছে মড়ার ধূপ। পোড়া ছাইয়ের ভারে
বুকের ভেতর উথাল পাথাল সহ্য যে হয় নারে।

অদৃষ্টে ছিল আঁকা
তোদের দোষেই প্রশাখা হারাই হারিয়েছি শিশুশাখা
জনগণ তোরা রাজা
যত প্রাণ ছিল পুণ্য গঙ্গে হবে যে রে মরা হাজা।

ভীষণ তোদের রোখ
বিধুর ফুলের প্লাস্টিক ফেলে আমাকে রাঙ্গাস চোখ।
আরও ভাঙাচোরা ভাঁজে
ঝাপসা দৃষ্টি কুয়াশা জমেছে শরীরের খাঁজে খাঁজে।

শিল্প শিল্প করে
কালিঝুল তেল মাখিয়ে আমায় পাঠালি কি ধাম ওরে
নোংরা পচানো বাসি
খেয়ে খেয়ে আর হজম হয় না মরা পশু রাশি রাশি।

বেঁধেছিস ভ্যালি বাঁধ
কাতর কলিজা ফেটে যায় ওরে নিভলো যে সব সাধ।
শিকলে শিকলে শত
বেঁধে রেখেছিস এভাবে আমায় কেন পাপে হোস রত?

ভুলেছি পাখির শিস
পতিতপাবণী মা বলে ডাকিস?তবে কেন দিলি বিষ?
এতো লাঞ্ছনা কেন?
আপন খেয়ালে গুঁড়িয়ে মারিস যেন তেন প্রকারেন।

বিষেতে জমানো লোভ
দয়াময়াহীন রাবিশ ঢালিস শুভ সত্ত্বায় ক্ষোভ।
পিঁচুটি চোখেতে ভরে
ন্যাংটো শিশুও প্রস্রাব করে আমার আঁচল ধরে ।

কলঙ্ক ছিল যত
ভাসিয়ে ডুবিয়ে লুকিয়ে রেখেছি  পাষাণ বুকেতে তত ।
ভীষণ বাঁচতে চাই
কোথায় ডোবাবি তোদের ভাসান? তিলে তিলে মরে যাই।

শোন শোন ভগীরথ
খুলে দে খুলে দে টুটিয়ে আঁধার আমার রুদ্ধ পথ।
তোল তোল হাতিয়ার
সময় এসেছে বাঁধ ভেঙ্গে দে রে চাই বেদম প্রহার।
ছন্দে ছন্দে বোল
আনন্দে লুটি একবার খাই ভূমির ওপর দোল ।  
হোক দৃপ্ত শপথ
ব্যানারে শ্লোগানে লিখে দেব নাম অজয় অগ্নিপথ।