কিছু কিছু ক্ষণজন্মা বীর
জীবনের বদলে উজ্জ্বল করে মুখ-
এই নিখিল-ধরিত্রীর।
বুকটা তাদের পুণ্যভূমি,কল্যাণকামী চেতনা চুমি-
সত্য-সুন্দর,মনুষ্যত্ব করে চাষ,
কোনো জন্তু-জানোয়ার,পশুত্ব নয়
সেখানে শুধু মানুষ-ই করে বসবাস।
তেমনি তুমি এক প্রতিবাদী বীর
অন্যায়ের কাছে এক আপোষহীন শির।
নাম-যশ,খ্যাতির আশায়-
জীবন করোনি দান,
তবুও তুমি পৃথিবীর কাছে সুমহান-
এক বিপ্লবী যুবকের নাম।
সর্বহারা মানুষের আর্তচিৎকার
তোমার কর্ণকুহরেই পৌঁছেছে বারবার!
অধিকারহারা মানুষের বেদনায়
চৌচির হয়েছিল মন!
সওয়া যায় না,সইতে পারোনি-
শতাব্দীর এ করুণ প্রহসন!
লজ্জা-ঘৃণায় দগ্ধিত হলে!
আত্মবলিদানে গেয়ে গেলে মানবতার জয়গান,
হে মহান যুবক,তোমাকে ভুলি কি করে?
ভুলতে পারি না তোমার অবদান।
সবাই যখন স্বার্থ খোঁজে তুমি খুঁজলে প্রেম
অন্ধ,বধির নষ্ট সারথির ভেঙ্গে দিতে ভুল,
জীবনের দামে জীবন কিনতে -
মৃত্যুকেই তুমি ভেবে নিলে ফুল।
কে বলে হায়!বাঁচানো যায়নি তোমায়?
তুমি করে গেছ জয়,মানুষের হৃদয়।
তুমি মরোনি,মরতে পারো না
তুমি রবে মানুষের হৃদয়ে,
ফিলিস্তিনের মানচিত্রে,
তুমি বেঁচে থাকবে কবির কবিতায়।
কে লিখবে তোমার ইতিহাস?
হে দগ্ধিত বীর অ্যারন বুশনেল-
ইতিহাসকেই তুমি আজ করে গেলে দাস।।