আমি হারামকে হারাম বলি
                                 হালাল কে  হালাল-ই
সত্য সুন্দরের পুজারি আমি  
                                করি না কারো দালালি।
সকল দলের আমি সকল মানুষের
                                 মানবতাই আমার ধর্ম
বিবেকের দায়ে কেবল কাব্য রচি  
                                কবিতা লেখা নয় কর্ম।
তরবারির যুদ্ধে পরাজয় থাকলেও
                           কলম-যুদ্ধে আছে শুধু জয়
অসি ফেলে মসি হাতে বিনা রক্তপাতে
                               সকল অধর্ম করব ক্ষয়।
শ্রদ্ধা-ভালবাসায় আজকে আমায়
                           অনেকেই কবি বলে ডাকে
পরম মমতায় বুকে টেনে নেই
                         চরম শত্রু ছিল যে-ও তাকে।
সংসার-সমাজ,নতুন রাষ্ট্র-পৃথ্বীর
                                স্বপ্ন করি চোখে বপন
ভাবি প্রজন্ম হয়ে যেন উঠে
                         সুন্দর আগামীর দীপ্ত তপন।
আমিও রক্তে মাংসে গড়া মানুষ
                         আমার‌ও হয় কষ্ট-অভিমান
যখনই দেখি কেউ নবাবী ঢঙে চলে
                     ভাইয়ের রক্ত করে দিয়ে ম্লান!
দাপিয়ে বেড়ায় পুব হতে পশ্চিম
                         উত্তর থেকে দক্ষিণে রোজ
ঘরের কোণের পঙ্গু বন্ধুদের
                  একটি বার‌ও নেয় না কো খোঁজ‍!
এক সাথে তারা গিয়েছিল মিছিলে
                          ফিরেছে কেউ ফিরে নাই
আসে না বোধে সেই বন্ধুদের দরদে
                         বারেক তাদের নীড়ে যাই!
ক্ষুধার জ্বালায় ধুঁকে ধুঁকে মরে কেউ
                      চোখের জল ফেলে প্রার্থনায়
সহপাঠীর রক্তের দাগ না শুকাতেই
                বাসর সাজায় কেউ ধুমধামে হায়!
যে ত্যাগী কর্মীদের অসীম ত্যাগেই
                   অতঃপর তারা গেল নেতা বনে
ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে সুমহান নেতা কেউ
                      রাখেনি সে ত্যাগীদের মনে!
বিজয়ের গল্পের নেপথ্যের নায়ক
                  তোমরাই রবে মানুষের স্মরণে
তোমাদের তরেই রচিলাম এ কবিতা
                সঁপে  দিলাম তোমাদেরই চরণে।।