উড়ে যেতেই পাখিটা,ছুঁড়ে দিলো পৃথিবী
আঁধারের কোলে সে ক্ষণকাল পর!
আঁধারেই হলো তার পরিশেষ আশ্রয়
আঁধারেই নিবাস আঁধারেই ঘর!

যেতে হবে,' তবুও যেতে চায়নি এতটা আগে
জীবনকে ভালবেসে জীবনের অনুরাগে-
উপেক্ষা করেছিল স্বর্গীয় পরিজনের ডাক,
হয়তো বা বিধাতাও চেয়েছিলেন থাক।
বিধি বাম!অকস্মাৎ এ পৃথিবীটা হয়ে এল হাফ!
স্বর্গের মেনকা নিমেষেই হয়ে গেল বিষধর সাপ!

সোহাগে আদরে কারো জীবন গড়ে পূর্ণতায়
কী পেল সে!প্রাপ্তির খাতা ভরা শুধু শূন্যতায়!
কত কথা কত স্মৃতি ছবি হয়ে ভাসে
অন্তিমকালে যখন দম ফুরিয়ে আসে।

তারা ঝলমল ছিল তার আকাশ‌ও একদিন
ভিজত চোখ দু'টো আনন্দের বরষে,
উদ্দীপিত হত তার শরীর নগরীও
কোনো প্রতিশ্রুত চাতক ঠোঁটের পরশে।

মাতাল হতো তার উষ্ণ সান্নিধ্যেও
সদ্য প্রস্ফুটিত সুরভিত ফুল,
হঠাৎ হলো চুরমার আকাশখানি তার
বিনা সাইরেনে‌!স্বপ্নগুলো হলো ভণ্ডুল!

সমস্ত নক্ষত্র খসে পড়ে একে একে  
সর্বত্র গেল ছেয়ে জমাট অন্ধকার মেখে!
বিয়োগ-ব্যথায় বর্তমান হলো লন্ডভন্ড!
অতঃপর নিজেই হয়ে গেল প্রস্তর খন্ড!

আহ্!কী নিদারুণ!সময় সকলি নিল কেড়ে!
সবাই গেল!নিষ্ঠুর নিয়তি যায়নি শুধু ছেড়ে!

নিষ্ঠুর নিয়তির নির্মম লিখনেই
ফুরিয়ে এল তার জীবনের হাসি!
এক প্লেট ভাতের বদলে জীবনটাই নিয়ে নিলো  
মেধাবীর লেবাস পরা কিছু কলম সন্ত্রাসী!

পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠে সকলে মিলে!
কত আর সয়!ছোট্ট শরীরে,কোমল এই দিলে।
পৃথিবীর সাথে সমস্ত লেনদেন গেল তার চুকে
শহীদের কাফেলায় দিলো যোগ ব্যথা ভরা বুকে!

ভুলে যাবে তারে কলুষিত ধরণী
হয়তো কিছুদিন থাকবে গো খবরে!
জীবন ভরা পেল যে ঘৃণা আর লাঞ্ছনা
করুণার ফুল আজ পায় সে কবরে!!