এ কেমন মা তুই বল ?
নিতেই জানিস পূজা শুধু - মুছিস না চোখের জল !
তোর সন্তানেরা ব্যথায় কাতর
ক্ষুধায় পেটে বাঁধছে পাথর
অভুক্ত থেকেও দেয়'গো প্রসাদ,যদিও না পায় ফল !
এ কেমন মা তুই বল ?
লক্ষ্মী দেবী বিরাগ হয়েই পালিয়ে গেছে দূরে
আসছে না তাই ভাগ্য ফিরে উল্টো পথে ঘুরে।
চাই না-রে মা বাড়ি-গাড়ি
ধন-দৌলত কাড়ি - কাড়ি
দু'মুঠো ভাত'- যোগান-চিন্তায় নিদ্রা করে ট্রল !
এ কেমন মা তুই বল ?
রোগে-শোকে মরছে যে তোর সন্তানেরা আজ
নিরব হয়ে দেখিস শুধুই নেই চিন্তার ভাঁজ !
জন্মাইনি পেটে যে তোর
পর ভেবে তাই খুললি না দোর
বাঁধলি না তোর মায়ার ডোরে স্নেহের আঁচল তল !
এ কেমন মা তুই বল ?
ছোট্ট থেকেই শুনছি মা'গো তুই হলি দশভুজা
শক্তিমত্তার প্রমাণ দিয়ে তোর পূজারিদের বুঝা।
দশ হাতে দশ অস্ত্র লয়ে
থাকবি শুধুই মূর্তি হয়ে?
জাগবি না তুই বিনাশ করতে অধর্ম-পাপের কল ?
এ কেমন মা তুই বল ?
সেই কবে এক অসুর বধের -গর্ব করিস আজ'ও
জাগতে তোরে আর দেখিনি-দুর্গতি নাশ সাজ'ও।
চারদিকে দেখ অসুর ভরা
অন্ধকারে ঢাকছে ধরা
দিস না সাড়া ডাকুক যতই সর্বহারার দল !
এ কেমন মা তুই বল ?
অনেক কথাই বলছি মা'গো করিস না তুই রাগ
দেই না যে তোর ভক্তি-শ্রদ্ধায় অন্য কারো ভাগ ।
এবার পুজোয় দিসনে ফাঁকি
তোর কাছে এই আর্জি রাখি -
জাত-ধর্মের প্রহসন তুই করে করে দিয়ে যাস অচল।
এই দাবিটা'ই রাখিস মা'গো- করিসনে আর ছল।