জিব্রান আমাকে যতোটা তার ঈশ্বরহীন সুফি জগতে তুলে নিয়েছিলো ঠিক ততোটায় আমাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলো কারণ তখনও আমি, আমিত্তের পরিধি থেকে বেড়িয়ে আসতে শিখিনি; এই শিক্ষাটা প্রথম গ্রহণ করেছিলাম আমি Zen 365 বইয়ের পাঠশালায়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আমি মেডিটেশনের ভিন্ন ভিন্ন পথ মাড়িয়েছি এই বইয়ের সুত্র ধরেই। তারপর ধ্যানে মগ্ন থেকে কবিতা লিখেছি এবং কবিতাকে রুপ দিতে চেয়েছি প্রশান্ত মনের নির্লোভ বাসনায়। তারপর ধীরে ধীরে দেহ ভোলার প্রক্রিয়ায় চরম মুল্য দিতে হল দাম্পত্য বিচ্ছেদে। কিন্তু এখন আমি বুঝি প্রেম কাকে বলে এবং আমি বিশ্বাস করি আমার ঐ হারানো প্রেমই আমাকে একদিন টেনে হেঁচড়ে তুলে নিয়ে যাবে ঈশ্বরের কাছে, যার রুপে আমি সৃষ্ট, হয়তো যার রুপ ব্যাখ্যা করতে গিয়েই আজ আমার জীবনটাও ঐশ্বরিক হয়ে উঠেছে কবিতার বাক্য গঠনের মতন। তুমি কি শুনছো কবি, আমার এই ঐশ্বরিক মনোলগ!
আমার কাছে কাব্যিকতা হল আমার স্বর্গীয় আর্ট অফ লিভিং আর এটা ধরে রাখতে হয়, একটা অভিনব প্রক্রিয়াও আবিষ্কৃত হয়েছে আমার মস্তিষ্কের বেগুনী মৃত্তিকায়; একটা সময় ভাবতাম কাব্যিকতা অথবা সৃষ্টিশীল যে কোনো কিছুই বুঝি মস্তিষ্কের কপালের সম্মুখস্ত prefrontal cortex নামের স্থানে কেন্দ্রীভূত তাই আমার কপালের মাঝখানের অঞ্চলটা অহেতুক নানান নদীর ভাঁজে অঙ্কিত থাকতো। কিন্তু এখন সেটার একটা বিজ্ঞান ভিক্তিক সমাধান পেয়েছি আর সেটা হল এই ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের মননের diffuse mode অনেক বেশী কার্যকরী, focused mode( prefrontal cortex এর স্থান) মোটেও নয়। সত্যি diffuse mode এর ধারণাটা আমার কাব্য সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে সহজ করে দিয়েছে, সহজ জল ধারার মতন। সবচেয়ে বড় কথা মস্তিস্ক তোমার ককপিট আর এই ককপিটে বসেই তুমি তোমার সকল ইন্দ্রিয়কে সচল রেখে তুমি উড়ে যাচ্ছ অফুরন্ত সম্ভাবনার আকাশে, এটাই জীবন। তোমার চারদিকে রহস্যে ঘেরা মেঘের দেশ, এগুলোর ব্যাখ্যাও জুটে যাবে তোমার কবিতায়। যদি তুমি সত্যিকারের অ-আরোপিত কবি হও। উড়ে যাও কবি, যতদিন জীবন আছে ততোদিন; বিশুদ্ধ পথে ঝরে পড়লেও সমস্যা নেই নির্ভীক নভোচারী কারণ পরবর্তীতে তুমি যখন আসবে ততদিনে মিলে যাবে আলোর গতির ক্যাপস্যুল। তোমাকে থামাবে কে, বল কবি?
২৫শে জুন