আমি কবি, শুধুই কবি। হ্যাঁ আমি একশত ভাগ নিশ্চিত আমি একজন বিশুদ্ধ কবি। তাই আমি তোমাকে কিছু বাড়িয়েও বলিনা, কমিয়েও বলিনা। কারণ আমার কিছু হারানোরও নেই কিছু পাওয়ারও নেই। জানো তো কবিরা পৃথিবীতে ডাক্তার হতে আসেনা অথবা ইঞ্জিনিয়ার। তাদের মূল সার্টিফিকেটই একটি, ঐ কবিত্বই।
কিন্তু পৃথিবীতে নড়াচড়া করতে গেলেও তো অনেক কিছুই লাগে, জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট!! আচ্ছা বাবা ঠিক আছে, সে জন্য আমি একটা আমার নাম ঠিক করলাম সক্রেটিস; আহ ভীষণ ভালো লাগছে আজ, মনে হচ্ছে দূরের আকাশটাকে একটু ছুঁইয়ে দেখলাম। জানো তো কবিদের কখনো অহংকার করতে নেই আর যে কবির নাম সক্রেটিস তার তো অহংকার মলিন হয়ে ঝরে পড়ার কথা। সত্যি করে বলতো কবি, তুমি কি সারা কাল জুড়ে আরেকটা সক্রেটিস পেয়েছো? একেবারে সোজাসাপটা বিনীত ভাবে বিনীত! অনেক জ্ঞানী বিনয়ী মানুষ দেখেছি কিন্তু তারা আসলেই বিনয়ী নয়, তাদের বিনয়ের আড়ালে আমিত্ব হাসে দাঁত দেখিয়ে তাই তাদের নাম দিয়েছি বিনীত ভাবে অবিনীত। অবাক হচ্ছো! তার পরবর্তী শ্রেণীটা কি জানো কবি?- অবিনীত ভাবে অবিনীত অর্থাৎ যারা শুরুতেই অবলিলায় বলে ফেলে আমরা অবিনীত এবং অবিনীত।
সক্রেটিস, চরম আরধ্য, পৃথিবীতে এমন কোন বাপের ব্যাটা ছিল বা আছে যে বলতে পেরেছে- "যে মানুষ মনে করে আমি কিছুই জানিনা, সেই সব চেয়ে জ্ঞানী"। জানো তো এই একটি লাইন যদি তাবৎ পৃথিবীর সকল জাতী, গোত্র, রাষ্ট্ররা যদি গিলতে জানতো তাহলে পৃথিবীতে কি আর বিভক্তি থাকতো? কিন্তু আমরা মানুষরা হচ্ছি চরমভাবে বিনীত ভাবে অবিনীত। মানে আমরা বলি একটা, করি আরেকটা; দেখায় একটা কিন্তু আসলে আমরা আরেকটা। আমার মনে হয় তাবৎ পৃথিবীর শতকরা নিরানব্বয় শতাংশ শিক্ষিত মানুষই ঐ বিনীত ভাবে অবিনীত গোত্রের। তাই মানুষ ঘুরেও এমন কিছুর পেছনে যেখানে আসলেই, যুদ্ধ, দুঃখ, দুর্দশা, হতাশা ছাড়া আর কিছু থাকে না। কিন্তু একজন বিশুদ্ধ কবি কোনোদিন ঐ নিরানব্বয় শতাংশের মাঝে পড়বে না, আমি নিশ্চিত।