আমার হৃদয়ের জঙ্গল বেয়ে
সেজে উঠেছে এক বিশাল কাঁটাগাছ,
নাম জানি না তার—
জীর্ণ, কাটা-মাখা, নগ্ন শরীর,
যেন সর্বক্ষণ চেয়ে থাকে
নির্লিপ্ত আকাশের শূন্যতার দিকে।
জেনো সে এক নিমিষেই গিলে ফেলতে পারে গোটা পৃথিবী—
রক্তমাখা ডালে নেই কোনো সবুজের ছাপ,
নেই কোনো স্নিগ্ধতা, বর্ষার প্রতীক্ষা,
নেই কোনো বসন্তভেজা প্রেমের আশ্বাস,
নেই চেনা হাতের ছন্দে মেতে ওঠার সজীবতা।
চোখ তার আটকে থাকে দূরে জ্বলতে থাকা আগুনের পাশে,
ছুটে যায় আবছা আলোয়
সবুজমাখা নীল নীল শরীরের পিছু,
বীভৎস কালো মেঘের ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকে
তোমার পোশাকী চেহারা।
অনন্তকাল ধরে জ্বলছে হৃদয়ের দাবানল—
বারবার উপড়ে ফেলতে চেয়েছি,
থামাতে চেয়েছি সেই আগুন,
ছাই হয়ে তলিয়ে গেছে তোমার প্রতিচ্ছবি।
এই অচেনা গাছটা যেন আমার
জেগে থাকা যন্ত্রণার ভাষা—
নীরবতার ভাষা।