নক্ষত্রের ক্ষয় জেনেও
সুরের সাগরে শান্তির চোখ মেনেছি অক্ষয় রবি।
হে কবি! হে সূর্য কবি!
বৈশাখ এল পঁচিশের খাতায় আমার একটি শব্দও ফুল হল না - ক্ষমা করো
কবিতার ক্যানভাসে শুধু লজ্জা শুধু লজ্জা শুধু লজ্জা
শুধু লজ্জা এঁকে যায় মৃত লাশের মুখ - পোড়া স্বপ্নের কংকাল
গলিত শব্দের চোখে শুধু হি হি শুধু হি হি শুধু হি হি
শুধু হি হি হেসে ওঠে অন্ধকার দুর্গন্ধের দাঁত - বেহায়া কাল
মাথা উঁচু করে হাঁটে কালো হাত - কালো রাত শুধু কালো অভিঘাত
পাহাড় অন্ধকারে চাপা পড়ে হাজারে হাজার স্বপ্ন মরে যায়
শকুনের মিছিলে জলপাই রাত মেতে ওঠে তাজা রক্তের নেশায়
ভেসে যায় ভেসে যায় আমার রক্ত ভেসে যায় নর্দমায় নর্দমায় ধ্বংসের তলায়
দৈনিকের পাথরে রক্তের আর্তনাদ নিথর বাতাসে মুছে যায় - স্রোতে ডুবে যায়
ভরে ওঠে ইতিহাসের তলপেট - জন্ম নেয় কালো ইতিহাস
প্রবল বেগেও আমি ভুলে যায় প্রাকৃতিক প্রয়োজন
চারদিকে শুধু ঘন আঁধারের আস্ফালন
সময় পুড়ে যায় এসিড দগ্ধ হৃদয়
আমি কিভাবে শব্দ কুড়াই ঋলসে যাওয়া হৃদয়ের হাতে
কিভাবে মালা বানাই পোড়া পাপড়ির শব্দে
আমি কিভাবে হর্ষে হেসে উঠি
কিভাবে নিপুন নেচে উঠি আবক্ষ আবেদনে
ক্ষমা করো কবি ক্ষমা করো - আমি লজ্জিত নিবেদনে
পঁচা লাশের অন্ধকারে একটিও ফুল নেই তোমাকে দেবার - ক্ষমা করো
হে কবি সূর্য রবি!
আলো দাও আলো দাও তোমার আলো আরো আলোতে ছড়িয়ে দাও
গেয়ে যাও গেয়ে যাও তোমার আলোর সুরে সব আঁধার উড়িয়ে দাও।