খাঁড়া নাক, পাকা চুল,
বসুদেব চোঙদার
ধুতি, পাজ্ঞাবি পরা
ইংরেজি মাষ্টার।।
ভোরবেলার এক ব্যাচে
তার কাছে পড়তাম।
সকলেতে ভালোবেসে
খুড়ো বলে ডাকতাম।।
নিয়মিত খেলাধুলা
ব্যায়ামের ভক্ত।
ভলি খেলে হাতগুলি
করেছিলেন শক্ত।।
কিল, চড়, চিমটি
অবিরত চলত।
ছোট খাটো ভুলেতে
কান মোলাও থাকত।।
বলতেন ইংরেজি
তখনই শিখবে
কঞ্জুগেশানটা যখন
ভাল করে জানবে।।
একদিন বিকেলেতে
আমাকে ডাকলেন
তিনি নাকি মোর সাথে
ভলি বল খেলবেন।।
ঠিকমত পৌঁছে
স্যার বলে ডাকতে
খুড়ো এসে বল্লেন
চুপ করে বসতে।।
ভয়ে মোর বুক খানি
দুরু দুরু কাঁপছে
খাতা, বই নিয়ে খুড়ো
কি জানি সব করছে।।
বল নেই, নেট নেই
এ কেমন খেলারে
প্রাণ বলে সব ছেড়ে
এক্ষুনি পালারে।।
এরপর কি যে হল
তোমাদের বলছি।
সারা খাতা জুরে শুধু
গ্রামারের ভেলকি।।
কি কঠিন সে গ্রামার
চোখে জল আনছে
প্রশ্নের প্যাঁচে মোর
ত্রিভুবন ঘুরছে।।
চোখ লাল, মুখ লাল
গ্রামারের ধাক্কায়।
খুড়ো এসে কান ধরে
ওঠালেন শেষটায়।।
একদিন বিকেলে
শিবে কোথা যাচ্ছে।
ডাকতেই বলল
ভলিবল খেলতে।।
সেই দিন প্রাণ মোর
নিশ্চুপে হেঁসেছে
খুড়োর ঐ ভেল্কিতে
এ ব্যাটাও ফেঁসেছে।।