একদিন মন ভরে খাইয়েছিলে নিজ হাতে রান্না
আমি পেট ভরে খাচ্ছিলাম তুমি চোখ বুজে দেখছিলে
আমি মুগ্ধ হাত চাটছিলাম তুমি রেগে রেগে ধাক্কা মারছিলে
আমি ধাক্কা খেতে খেতে হাত চাটছিলাম তোমাকে আরো রাগাতে ...
তারপর অনেক অনেক রাত কাত হয়ে মিশে গেল কত গোধূলির আপোসে
তারপর কতবার হাত চেটে খেয়েছি, খাই
হাত চেটে খাওয়া মানেই তৃপ্তি
কিন্তু সে ছিল অন্যরকম - মেখে আছে - মেখে যায় - মেখে থাকে
তারপর নিউ মার্কেটের কফি কাননে হঠাৎ এক শেষ বিকেলের আঁচল টেনে
কখন যে তুমি বসেছিলে এসে টের পাইনি
কফির মুগ্ধতায় চিৎ সাঁতারে ................
পাশ দিয়ে চেনা হাসির মত একটা বয়সের পাখি ছুটে গেল -
আমি কফিকাপে সাঁতরাতে থাকি -
ঘাম মিশে যায় কফিতে
কফি কাননে
বাতাসের ভিড় গলিয়ে একটা হাত চেনা চিমটি কেটে
বলে গেল, "এসো সোম সাতে ............................"
তুমিও চলে গেলে
পাশের চেয়ারে তুমি নেই, তাকিয়ে আছে ৪৩ নং বাড়ি গুলশানের চোখে
তারপর সোমসন্ধ্যায় খুলে গেল ৪৩
উঠতে থাকি
লিফটের আয়নায় ভেংচি কাটে পুরোনো দিন
তুমি সরাসরি নিয়ে গেলে সাজানো ডাইনিঙ্গে
কত রকমের খাবার
না চেনা বিদেশি
ডাইনিং ক্লথের বিছানায়
পশ্চিমের পর্দা সরিয়ে দেখি শহর নিচ দিয়ে হাঁটছে
আমি খেতে ভুলে যাই
কাটা চামচটা নাড়িচাড়ি
কাটা চামচ চাটা যায় না
- "আজ উঠি, অনেকদিন পর আজ তোমাকে রাগাতে মন চাচ্ছে না।"