শত যন্ত্রণার ঢেউ ডিঙিয়ে,দিন করে পার সে নারী
ধৈর্য্যের সীমানা ছেড়ে নারী দেয়, কষ্টের পাহাড় পাড়ি
বিশ্বাসে অটুট নারী আগায় ধীরে, ফুটো নায়ে পা দিয়ে
ডুবে ভেসে অবশেষে, সাঁতরে কূল খুঁজে আনে ছিনিয়ে।
নারী সেতো, মা বাবার রাজকন্যা ছিল একদা জানি
রাজকন্যার কপালে অবশেষে, কেনো বিষাদের গ্লানি!
সেতো ছিলো বোন খুব আদরের, সেই বড় ভাইয়ের
ফুটফুটে কন্যা তার রূপ পুড়ে, রঙ শেষে ছাইয়ের!
সে মায়ের মমতার আঁচলে লুকানো, ছিল আদরিণী
বাঁশের ঝাড়ে রোদ্দুর হয়ে, লুকোচুরি চঞ্চল হরিণী
উচ্ছ্বল পরিবারের ছিলো সে, সবার আদরের মধ্যমণি
দাদাদাদীর খেলার সাথী সেতো- মমতায় অথৈ খনি।
পঁচিশটি বসন্ত শেষে, অজানার পথিক হলো সে মেয়ে
ছিঁড়ে মমতার জাল, আগায় সে বিষাদের গান গেয়ে
সমুদ্র চুরা**িতে, পা রাখতে মেয়ে শেষে হয় নারী
চঞ্চলতা মুগ্ধতার সমাপ্তির ইতিতে টেনেছে দাড়ি!
অচেনা পরিবেশের মাঝে, নারী গুঁটিসুঁটি বিছানায়
ভাসে ভাবনার জলে ছলোচ্ছল, উঠেছে যে মিছা নায়
মোমের পুতুল গলে গলে পড়ে, সামনে অথৈ আঁধার
স্বাধীনতার দুয়ারে খিল আঁটবে, পথ হবে বাঁধার।
উচ্ছ্বাসের প্রহরটা পেরিয়ে, নারী হয় একদা মাতা
ব্যথার খুঁনসুঁটিতে মুগ্ধ সে, তবু জীবনে ফাঁদ পাতা
সমাজ সন্তান ভেবে কষ্ট সহনে, নারী হয় পাথর
সয়ে সয়ে নারী স্থির অবিচল, হয়না আর কাতর!
নারী কাঁদে একা পড়ে নিথর, ফেটে যায় বুক ব্যথায়
নারীর যে ঘর নেই, অথৈ সমুদ্রে ভেসে যাবে কোথায়!
একদা ছিল বাপের বাড়ি- মেয়ে, নিজের বাড়ি তো নয়
স্বামীর ঘরের চাবী হাতে তার, হারানোর সেও ভয়!
নারীর আবাস শেষে, ছেলের ঘরে বোঝা হবে মাথায়
শক্ত হাতে তবু বাঁধে সংসার, মায়ার বন্ধন সূতায়
চারিদিক সামলিয়ে নারী সামনে আগায় দৃঢ়তায়
সব মমতার জালে আটকাতে পারে নারী, স্থিরতায়!