ইচ্ছের কথা বলে আর লাভ নেই জান তো
ইচ্ছেরা সময় অসময় পাখনা মেলে
কত কিছুই করতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছেদের কোন শেষ নেই সীমাও নেই।
কোথাও দূরে যাচ্ছো! বাক্স গুছিয়ে দিচ্ছি আমি
ইচ্ছেরাও খেলছে এলোমেলো খেলা।
এই মুহুর্তে ইচ্ছে করছে আমার সব ব্যাকুলতা
তোমার বহন করা বাক্সে ভরে দিতে,
বেলীর ঘ্রাণ,শিউলীর মালা আর
এক শিশি শিশিরও দিতে ইচ্ছে করছে।
আর নিরবে চোখের জলের গাঢ় ফোয়ারা
আমার সকল অস্থিরতা, অবজ্ঞা, বিষন্নতা
চোখের জল মুছা রুমালটাও।
খুব মনোযোগে তোমার বাক্সটা আমি গুছিয়ে দিব আজ
খুব ইচ্ছে করছে সাজিয়ে গুজিয়ে দিয়ে চেইন টানার
দেখি কতটুকু কি করতে পারি তোমার জন্য আজ।
পলিথিন মুড়িয়ে সবুজ দিতে পারি নতুবা
একঝাঁক ছোট নীল প্রজাপতি আর
শরতের মেঘ, কাশফুলের উড়ে যাওয়া পাঁপড়ি।
কষ্টের প্রতিটি মুহুর্ত,অবহেলাগুলো অথবা উপেক্ষা
না বলে চলে যাওয়া কিংবা কথা দিয়ে কথা না রাখার মুহুর্ত।
খুব যত্ন করে আজ তোমার বাক্সে এসব ভরে দিতে ইচ্ছে করছে,
আর তুমি যখন বাক্সের ডালা খুলবে তখন নির্বাক চোখে দেখবে
কি সুন্দর নীল প্রজাপতিরা তোমার রুমে উড়াউড়ি করছে,
বেলী আর শিউলী তোমাকে নিয়ে যাবে পিছনে।
শিশিরের শিশি যখন খুলবে সিক্ত হয়ে যাবে মুহুর্তেই
বুকে হাত দিয়ে অনুধাবন করবে অবহেলা অবজ্ঞা আর উপেক্ষা
বিষন্ন চোখে ভাববে আরে প্রয়োজনীয় জিনিস না ভরে এগুলো
কে সাজিয়ে দিলো? অপ্রয়োজনীয় জিনিসে বাক্স টইটুম্বুর।
যখন রুমালটা হাতে নিবে ভেজা অনুভূতি তোমাকে নাড়িয়ে দিবে
শরতের শুভ্র মেঘে ভেসে ভেসে তুমি ভাববে চলে আসতে আবার,
কাশফুলের পাঁপড়ি তোমাকে নরম পরশ বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিবে।
যখন জেগে উঠবে বিহবল হয়ে উঠবে আর ভাববে এসব কি!!
আবার বাক্স খুলতে বসে যাবে,
নিজের জিনিসগুলো খুঁজবে আকূলতায়
হঠাৎ দেখবে বাক্সের চেইন পকেটে গুনগুন করা মৌমাছির কান্নাসুর
আমার সব কান্না আজ তোমার বাক্সে ভরে দিয়েছি গো
ভালবাসা খুঁজতে গিয়ে ভুল করবে তুমি,
বাক্সের পকেটে পকেট তোলা আছে শুধু বেদনা কাব্যের ঘুনপোকা।
যা তোমার অযত্নে এতদিন আমার কাছে ছিল
আজ সব ফিরিয়ে দিলাম প্রিয়, নিঁখুতভাবে ভাজে ভাজে
দিয়ে দিয়েছি আমার সব পাওয়া না পাওয়া ব্যাকুলতা।
ভাববে বসে শুধু এসব দিয়ে তুমি কি করবে।
যা ইচ্ছা করো গিয়ে, শরবত বানিয়ে খাও
মাথায় দিয়ে ঘুমাও নতুবা চোখে বসিয়ে নাও।
জেনে রাখ আমি এখন তোমা হতে অনেক দূরে
কিছুই আর ফিরিয়ে দিতে পারবেনা ।
বুঝলে কিছু উদাসীন কবি! হাহাহাহাহা!
(২০ ডিসেম্বর ২০১৪)