মুখের ভাব পরিবর্তনে তুমি যেনো কাক হয়ে যাও
কা কা কা কা কর্কশ সুরে বেসুরো গান ধরো
নেক নজর হয়ে যায় নিমেষেই বিষ নজর...
আচ্ছা তুমি কি গ্রীষ্মের তীক্ষ্ণ রোদ্দুর
জ্বালিয়েও ক্ষান্ত হও না,
বুকের জমি শুকিয়ে দাও ফাটিয়ে !
চোখের মণিতে চৈত্রের সূর্য
সে চোখে তাকিয়ে থাকা যায় না
রাগের আগুনে পুড়িয়ে দাও ছাই করে
ঠোঁটে বিড়বিড় কথা যেনো একেকটা সেল
বুকে বিঁধে যাবে এদিক ওদিক নড়াচড়ায়
আচ্ছা তোমার ভিতর বাড়িতে বাতি নেভানো কেনো
সুইচটা অটো করে দাও না....
এনার্জির আলোতে তোমার অহমগুলো জ্বলে যাক।
তোমার মাথার ভিতরের নিউরণগুলো এলোমেলো
বোধয় রাগের হুলি খেলা চলে নিত্য সেখানে
তোমার বুকের বাম পিঞ্জরে হিংসার বসবাস...
পিঞ্জরের অর্গল বন্ধ কেনো....
খুলে দাও না প্লিজ,
ফাগুন হাওয়া নিত্য করুক সেথা আসা যাওয়া
হাওয়ার ঝাটকায় ধুয়ে নিক হিংসার জঞ্জাল।
তোমার মনের চারিদিকটা বুনো ঝুঁপ ঝাঁড়ে পূর্ণ
সংকীর্ণ পথে কাঁটায় ঘেরা,
সেখানে উঁকি দিলেই রক্ত ঝরে চোখে
মনে মন ছুঁয়ালেই কাঁটা বিঁধে চুয়ে চুয়ে হয় রক্তক্ষরণ
হাত বাড়ালেই আটকে যায় কাঁটার বেড়ায়, ফের রক্তাক্ত
পা বাড়ালে কাঁটার আঘাতে রক্তে ভিজে যায় সামনে চলার পথ,
কিভাবে ছুঁয়ে দিব আমার প্রেম তোমার মনে বলো?
আচ্ছা ভালবাসার কাঁচি নেই তোমার?
ছেটে দাও পথ, সে পথ হোক বিস্তির্ণ, কাঁটামুক্ত।
এতোটা অমিলের কারখানা গড়া এ জগত সংসার
এখানে তুমি কখনো হওনি মুগ্ধ,হতে চাওনি হয়তো,
আকাশে বসে মর্ত্য ছুঁয়া যায় না, সে তো জানো!
তবুও এ এক অবিশ্বাস্য কাহিনী আহা!
সেই বিষ কাঁটা তুমি আমার হয়েই আছো।
আর আমি তোমার,এখানে সুখ নেই আছে দ্বন্ধ
এখানে ছন্দ নেই আছে অগুছালো কথার তীব্র ঝাঁঝাঁ।
বেঁচে থাকার নিঃশ্বাসে উথাল পাতাল ঝড়োতান্ডব,
একদিন ভেসে যাব সভ্যতার নাওয়ে চড়ে আঁধারের বুকে
অতৃপ্তির ঢেকুর তোলা জীবন যাক ক্ষয়ে যাক।