প্রতিনিয়ত একই পথের যাত্রি হয়ে ছুটে চলেছি
পথ ধীর লয়ে
ক্লান্তিহীন দেহখান;অবসাদের ভাড়ে নুয়ে পড়ল
মন গলে ক্ষয়ে ক্ষয়ে;
কত'টা সময় গেল অনুসন্ধিৎসায় বয়ে।
হেঁটে যাই একা তাবৎ বিসংবাদ সাথে নিয়ে
পদচিহ্ন রেখে যাই;জগত দেখি বিস্ময়ে
হে ভালবাসা তোমায় দিয়েই দিলুম ছুটি
দীর্ঘশ্বাস পড়ে চুয়ে চুয়ে,
খানাখন্দ পথে ভালবাসা খায় লুটোপুটি,
স্পর্শ নি' মাটিতে নুয়ে ।
ধৈর্য্যের ওপাড়ে সুখ আছে?
এগোই মন্থর - অপরাধী পায়ে;
ফের নব প্রভাতের আশায় কাটিয়ে দেই
একাধিক বিভাবরী,
অনির্ণীত আশাগুলো থাকে অবসন্ন শুয়ে,
অনির্বেদ দিবাকর হট্টহাসি দিয়ে
দিনের আলোটা দেয় সহসা নিভিয়ে;
অথচ সুর্য দেখব বলে কাটিয়েছি একেকটি দিন,
আলো বুকের ভিতর রেখেছি জড়িয়ে।
কতটা পথ আগালে হবো সিদ্ধ?
পথে পথে আছে বিষকাঁটা ছড়ায়ে,
রক্তাক্ত পদযুগল, তীক্ততা-ই হয়ে রয় সাথী,
অসীম শুন্যতা যেনো ঐ আছে দাঁড়ায়ে;
সব সুখ নিয়ে যদি পার সুখি হও;
স্বাধ জেগেছে আমার অন্তিমে যেতে হারায়ে;
ধৈর্য্যের সে নেশা আর মায়া হলো ছিন্ন আজ;
শুভ্র মেঘেরা ডাকছে দেখ হাত বাড়ায়ে!!
প্রাপ্তির ঝুলিটা দিয়ে গেলাম তোমার হাতে
খুলে দেখো নির্দ্বিধায়,
কোনো একটি বিষন্ন প্রভাতে।