স্থির নির্জন কবর খানা
নিঃশব্দ অস্থিতে পরিপূর্ণ,
অন্ধকার সংকীর্ণ রাস্তার দু'ধারে
অজস্র মৃতদেহ
ক্লেদাক্ত হিমেল পা,
পাঁজরে জড়ানো মৃত্যু ছায়া
মুখে কেবলি পবিত্র একটা শব্দ।

অশ্রু কিংবা বৃষ্টির ছোঁয়ায়  
বেজে ওঠে কবরে নানা ঘণ্টাধ্বনি।
কখনও কখনও একা, আমি দেখি
খোলা কবরে বিবর্ণ মৃতদের শরীর,
মৃত কুন্তলে জড়ানো নর-নারী,

পাশের নদীতে রক্তবর্ণ জল
গাঢ় নদী, দারুণ খরস্রোতা।
মৃত্যুর শব্দে নদীটা ও ফুলে উঠছে
মৃত্যুর নিঃশব্দ ধ্বনি প্রতিধ্বনিতে।
মৃত্যু এসে পৌঁছা লো কল শব্দ মুখর নদী তীরে।
এসে পৌঁছা লো মুখ বিহীন জিভ বিহীন
কন্ঠস্বরবিহীন কণ্ঠে চিৎকার করবে বলে।

গাছের পাতার খস্‌খস্‌ শব্দ
নিস্তব্ধ নীরবতাকে আরো ভয়ানক করছে।
আমি ঠিক জানি না,
তবু আমার মনে হয় সে শব্দে
মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে
কারো না কারো মৃত শরীর, মুখ।
কেননা মৃত্যুর মুখ,
অপলক চোখের দৃষ্টি অবিকল সবুজ।
বরই পাতার বিদীর্ণ আর্দ্রতায়
উন্মত্ত শীতের রঙ বিষণ্ণ ধূসর।

মৃত মাটি থেকে লাফিয়ে ওঠে,
মৃত্যু পল্লবে মুখ ঢাকে,
মৃত্যুর জিভ খোঁজে শবদেহ,
মৃত্যুর ছুঁচ খোঁজে সুতো।
মৃত্যু আমাদের দোলনার আশেপাশে
সস্তা মাদুরে, কালো কম্বলে
মৃত্যু মাথা গুঁজে থাকে,
তারপর সহসা উধাও-
বিষণ্ণ শব্দে চাদর দুলিয়ে সে চলে যায়
আর বিছানা গুলো পাল তুলে ভেসে যায়
কবর স্থানের দিকে
যেখানে সম্রাট মতো সুসজ্জিত পোশাকে
অপেক্ষা করে থাকে মৃত্যু।