তুমি সেই শিউলী,
যার স্নিগ্ধতায় ভোরের বাতাস
স্নিগ্ধ হয়,  
যার কোমল পাপড়ির ছোঁয়ায়
শিশির বিন্দু ঝরে যায়,  
তুমি সেই শিউলী,
যার সৌরভে মুগ্ধ হয় বসুন্ধরা,  
তোমার পবিত্র গন্ধে হারায়
দুঃখের গভীরতা।

তুমি সেই শিউলী,
যে ফোটে গভীর রাতে,  
যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে,
তুমি একা জাগো,  
তোমার অস্তিত্বে
মিশে থাকে প্রকৃতির মায়া,  
তুমি সেই শিউলী,
যে নীরবে কথা বলে,  
যে তার রূপ দিয়ে নয়,
বরং তার সুভাস দিয়ে  
অজানা ভালোবাসার
গোপন গল্প বলে যায়।

তুমি সেই শিউলী,
যে সকালে ঝরে যায়,  
কিন্তু তোমার উপস্থিতি থাকে
প্রতিটি মনে,  
তুমি চলে যাও নীরবে,
তবু তোমার ছায়া  
থেকে যায় প্রভাতের কুয়াশায়।

তুমি সেই শিউলী,
যার জন্য অপেক্ষায় থাকে  
মাটি, আকাশ, আর সেই নির্জনতা।

তুমি সেই শিউলী,
যে ত্যাগের প্রতীক,  
তুমি হয়তো ক্ষণস্থায়ী,
কিন্তু তোমার মহিমা অমর।

তুমি সেই শিউলী,
যে জীবনের প্রতিটি ক্ষণে  
নীরবে বলে যায় প্রিয়তার কথা।

তোমার তুলনা নেই, তুমি একক,  
তুমি সেই শিউলী, যার অস্তিত্বে  
মুগ্ধ হয় প্রকৃতি,
আর পায় আশ্রয় মন।

তুমি সেই শিউলী,
যার জন্য প্রতিটি প্রভাত  
হয়ে ওঠে আলোকিত,  
তুমি সেই শিউলী,
যার সৌন্দর্য চিরকালীন,
যাকে ভোলা যায় না কোনোদিন।
  
তুমি সেই শিউলী, যে নীরবে হাসে,  
তোমার স্নিগ্ধতায়
মিশে থাকে ভালোবাসার
গোপন বার্তা।
  
তুমি সেই শিউলী,
যে সকলের মাঝে অনন্যা,  
তুমি সেই শিউলী,
যার সৌরভে ভরে ওঠে
প্রকৃতির প্রতিটি কোণ।