শৃঙ্খল আর হলাম না কোথা,
ভাঙার নেশায় বিভোর ব্যথা।
নিজেরে ছিঁড়ে নিজেই হাসি,
আপন ভুলেই বাজাই বাঁশি।
কুকুর যদি কামড়ে দেয়,
আমিও ছুটে যাই তার পায়।
ঘায়ে ঘা দেই, প্রতিশোধ চাই,
তাতে কি মোর কল্যাণ হয় ভাই?
অবুঝ শিশু মল ছিটায়,
হাসে খেলে, ধুলায় গড়ায়।
পিছলে পড়ে কাঁদে যখন,
বোঝে না সে ভুলের কারণ।
বাঙালির শুধু বাড়ে গায়,
মন যে রয়ে শিশুরই ছায়।
শাসন মানে না, গর্ব তার,
নিজেরে শুধায়— কবে স্নিগ্ধবার?
রাস্তায় জ্যাম, চিৎকার শুনি,
শৃঙ্খল কোথায়? নীরব খুনি।
দোষ দিই শুধু, করি না কাজ,
আপন ভুলেতে আপন লাজ।
হায়রে জাতি! কবে শিখিবি?
তোরই ভুলে নিজে ডুবিবি।
ওহ! দেখো তো, আমি কী বলি?
আমিও যে তেমনি এক বাঙালি!