এক নদী ছিল, বয়ে চলত নীরব স্রোতে,  
হৃদয়ে তার লুকানো ছিল শত ব্যথার কণ্ঠে।  
জলের ঢেউয়ে বাজত জীবনের গান,  
তবু অন্তরের গহীনে ছিল অস্পষ্ট বেদনার দান।

এক নারী ছিল, চোখে তার স্বপ্নের ছায়া,  
মনের গভীরে ছিল এক বুক জমে থাকা মায়া।  
তাকে দেখে সবাই ভাবত, সে যেন পরিপূর্ণ সুখে,  
কিন্তু রাতের নীরবতায় কান্না ছিল লুকিয়ে মুখে।

নদীর স্রোতে ভেসে যেত নারীর কথার সুর,  
একই ছিল তাদের ব্যথা, একই ছিল দূর।  
নদী যেমন পায়না তার গন্তব্যের ঠিকানা,  
নারীর জীবনও ছিল তেমনই শূন্যবিধানা।

জীবনের পথ দুজনের ছিল যেন মিলিত,  
নদী ও নারী—দুজনেই ছিল একা, অবিরত।  
নদী বইত, নারী হাসত, তবু বেদনার ঢেউ,  
তাদের গল্প যেন ছিল মনের গহীনে অশ্রুর খেউ।

বয়ে চলত নদী, হারিয়ে যেত নারী,  
তাদের জীবনের গল্প ছিল একাকী কাহিনী।  
তবু সেই বয়ে চলা, সেই নীরব স্রোত ছিল বহ,  
নারী ও নদী—দুজনের জীবনের কত গভীর মোহ।