রোদেলা সকালে, মনে পড়ে সেই স্বাদ,
মিষ্টি পনিরের মতো, গভীর সময়ের অতল।
সেদিনের চা, স্নিগ্ধতার রেখা আঁকে,
ভোরের কাঁঠাল, ফুলের গন্ধে বিভোর করে।
সেই পুরনো বাড়ির বারান্দায়,
সন্ধ্যার ছায়া পড়ে, আলোছায়ায় খেলা।
মায়ের হাতের রাঁধুনির সেদিনের রূপ,
ভাতে মিশে থাকত জীবনের প্রতিচ্ছবি।
আমির কান্না, বাবা-দাদার হাসি,
রান্নাঘরের তাপে উঠেছে মনে সেই রাশি।
দিদিমার গল্পে বোনা অজস্র স্মৃতি,
বহু বছর পরে মনে পড়ে সেই মিষ্টি।
ঘূর্ণিপাকের দিন, বৃষ্টির কাঁপুনি,
ছোট্ট সাপের মতো, নীরবতার ছায়া।
রোদ্দুরে মিশে যায়, সেদিনের সমস্ত স্বাদ,
মায়ের রান্না, বাবার কথা, সবই যেন মায়া।
জীবনের নদীতে, সময়ের কলরব,
এখনো খুঁজে বেড়াই, সেই স্বাদের সোনালী পথ।
গন্ধে ভরা বাগান, মিষ্টি হাসির জল,
ভুলে গেলে কখনো, সেই স্বাদ বুকে ফুটে।
বয়সের সাথে বদলে যায় স্বাদ ও রঙ,
কিন্তু স্মৃতির বাগানে, সেই স্বাদ বয়ে চলে।
পাহাড়ের চূড়ায়, নদীর কূলে দাঁড়িয়ে,
আমার প্রাণের কাহিনী, সেই স্বাদের মাঝে।
মনে পড়ে সেই স্বাদ, একাকী সন্ধ্যায়,
বাঁধনটা যেন চিরকাল, সেই স্বাদের চাহনিতে।
রঙিন দুনিয়া, হাসি-আনন্দের জন্য,
প্রেমের উষ্ণতা, সেই স্বাদের অঞ্জলি।