একদিন খুঁজেছিনু যারে-দিগন্তের
ওই সোনাঝরা
পাখিডাকা নির্জন ভোরে,
কুয়াশার আড়ালে স্বপ্নের মায়ায়
কোলাহলে, ব্যাস্ততায়, নিরবে
প্রকৃতি ঢেকে যাওয়া শীতের চাদরে।।
নদীর স্রোতে, মুক্ত বিহঙ্গের গানে
পথিকের মৃদু পায়ে
চেনা কিংবা অচেনা সুরের ভুবনে,
জোছনার রুপালী আলোর তলে
দূর থেকে ভেসে আসা
রাখালিয়ার সুমধুর বাঁশির গানে।।
একদিন খুঁজেছিনু যারে- নদীর
দুই তীরে বালুতটে
ঢেউয়ের দোলায় জীবনের সমুদ্র সফেনে,
যুদ্ধের ময়দানে পরিত্যাক্ত বাংকারে
ক্ষুদার্ত মানুষের বুকফাটা আর্তনাদে
ঝর্নার ছন্দে ফুলের বাগানে।।
একদিন খুঁজেছিনু যারে- হাওয়ায়
ভেসে আসা শিউলী ফুলের গন্ধে
দুখিনী বধুর কান্নার সান্তনায়,
খুঁজেছিনু গন্ধে মিশে যাওয়া
আমার আকাশে মেঘের পাড়ে
অধরা হাতের নির্দ্বিধায় ইশারায়।।
প্রতিটি সন্ধ্যায় তারে খুঁজেছিনু
নির্জন ধ্যান মগ্নতায়
জীবনের ঘরে জমানো অভিমানে,
তারে খুঁজেছিনু প্রতিটি বৃষ্টির কণায়
স্বপ্নের মেঘমালায়
বিশ্বাসের প্রান্তে হারানো কথোপকথনে।।
এই পৃথিবীর মাঝে গ্রহ,তারা
নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষে
জীবনের চোরাবালিতে ফেলে আসা দিনে,
অপেক্ষার প্রতিটি মুহূর্তে
বাঁচার আকুতির শেষ অংশের চিৎকারে
বিরহের কবিতার ছন্দহীন চরণে।।
একদিন খুঁজেছিনু যারে- এই
হাজার মানুষের ভীরে
এমনই কোন এক জন সমুদ্রের জলে,
খুঁজেছিনু তারে দল বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা
গণনা বিহীন বৈশাখী মেলায়
কবিতার পাতায় শিউলী ফুলে ফুলে।।