নীরব মঞ্চে আলো ঝরে,
পুতুলেরা জীবন্ত হয় সুতো ধরে।
রঙিন জামা, মায়াবী হাসি,
তবু কি তারা জানে সুখের ভাষি?
সুতো টানে কারো অদৃশ্য হাত,
ছন্দে বাঁধে জীবনের কথা।
একবার হাসি, একবার কান্না,
পুতুলের গল্পে মেশে বিষাদগন্ধা।
চোখে চোখে ঝলমলে রূপ,
তবু ভিতরে নীরব ধূপ।
আলোর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে,
মনের ব্যথা কেউ বুঝতে না পারে।
পথিক থামে, মুগ্ধ চোখে চায়,
পুতুলের নাচে সময় থমকে যায়।
কে জানে তারা কি কেবলই খেলনা,
নাকি ভাঙা হৃদয়ের একাকী গল্পখানা?
জীবন যেন সুতোয় বাঁধা,
ইচ্ছের ডানা কেবলই কল্পনা।
স্বাধীনতা নেই, নেই কোনো গান,
তবু নাচে তারা রাতভর প্রাণ।
আকাশের নীচে যখন থামে সব,
মঞ্চের আঁধারে নামে নীরব।
পুতুলেরা ফিরে যায় তাদের গৃহে,
নিঃশব্দ চোখে একাকী ব্যথার দিশে।
তবু পুতুলেরা বাঁচিয়ে রাখে আলো,
জীবনের গল্প বলে শত কল্পনাতেও।
তারা অমর হয়ে থাকে হৃদয়ের ভেতর,
মনের মঞ্চে বাজায় চিরন্তন স্বর।
এই পুতুল নাচ কি শুধু খেলা?
নাকি জীবনেরই লুকোনো মেলা?
জানি না, তবু দেখি মুগ্ধ চোখে,
পুতুলেরা বাঁচায় আমাদের অসীম শূন্যতায়।