তোমার চরণতলে খসে পড়া তারার ঝরনা,
প্রশ্নহীন আকাশের গভীরে লুকানো মেঘলা জিজ্ঞাসা।
তোমার ঐশ্বরিক মায়া ভরা চোখ,
যেন বিশাল মরুভূমির বুকে সদ্য ফোটা রক্ত গোলাপ।
আততায়ীর স্বপ্নে আঁকা রাজপ্রাসাদে
তোমার হাসির ঝিলিক নিয়ে আসে
একটি প্রাচীন প্রার্থনার সুর।
যেন পারস্যের শুষ্ক বালিতে
বয়ে আসে নীলনদের সজল আশীর্বাদ।
তুমি, শিউলির সুবাসে ঘেরা এক পবিত্র সকাল,
যেখানে শব্দের মলাটে মিশে যায় হৃদয়ের নির্জনতা।
তোমার দৃষ্টি, মিথের বাঁধনে আঁকা—
সম্রাটদের শতাব্দী পেরিয়ে
চিরসত্য দ্বীনের আশায় উন্মুখ।
তোমার বুকের পাথরখোদা দুঃখের সিন্দুকে
বন্দি হয়ে আছে আকাশের নক্ষত্ররাজি।
আর আমার হৃদয়,
একটি উদীয়মান সূর্য,
তোমার ছোঁয়ায় হতে চায় মুগ্ধ শ্বেত কপোত।
স্বর্গীয় বধূ,
তোমার পদযুগল স্পর্শ করে
যে প্রেমিক ইতিহাসের ধ্বংসাবশেষে ভেঙে পড়েছে,
তারই বুকের চিড় ধ্বনি হয়ে
তোমাকে নিবেদন করছে চিরন্তন প্রণয়।
তুমি যদি গ্রহণ করো সেই আততায়ী প্রেমিকের নিবেদন,
তবে যুগান্তরের সমস্ত ক্ষতচিহ্ন
ফিরে পাবে তার পবিত্রতা।
আর যদি ফিরিয়ে দাও,
তবে নিশ্চিত থাকো—
সম্রাটদের রাজ্যজয়ের মতো
একটি হৃদয় আজ চিরতরে নিঃস্ব হবে।