সে ছিল বড়ই আনমনা,
দৃষ্টি তার অজানা কোনো দূর আকাশে।
অদ্ভুত এক নীরবতার আবরণে ঢাকা,
মনে হত, যেন সে কোনো হারানো গান।
নদীর ধারে বসে থাকত একা,
তারা গোনা রাতে চাঁদের কাছে ফিসফাস।
তার চোখে ছিল গভীর বিষাদের গল্প,
মনে হত, সেই গল্প কোনোদিন শেষ হয়নি।
হাওয়ায় ওড়া চুলের আড়ালে
লুকিয়ে ছিল কিছু চাপা দীর্ঘশ্বাস।
তার হাসির আড়ালেও ছিল এক ভাঙা স্বর,
যেন হারিয়ে যাওয়া সুরের কষ্ট।
কেউ জানত না, সে কী খুঁজত?
কোনো হারানো স্মৃতি, নাকি অজানা ভবিষ্যৎ?
তার পায়ের ছাপ রেখে যেত ধূলোমাখা পথে,
যেন প্রতিদিনের পথচলা শুধুই এক অজানা গন্তব্য।
কেউ কেউ বলত, সে প্রেমে পড়েছিল
কোনো এক অসম্ভব স্বপ্নের।
কেউ বলত, তার জীবন ছিল
এক অসমাপ্ত কবিতা।
তবু, তার আনমনা চাওয়া
এক আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখত।
মনে হত, কোনো একদিন
সে তার হারানো গল্প খুঁজে পাবে।
আজও যখন নদীর ধারে যাই,
তার চেনা ছায়া মনে পড়ে।
সে যেন এখনো বয়ে চলে বাতাসে,
তার আনমনা স্বপ্ন হয়ে।