অহংকারী সে-ই মেয়েটি,
নীরব রাতে যে চুপিচুপি
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদে।
অভিমানী চোখে খুঁজে ফেরে
নিজের অস্তিত্বের ছায়া,
কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেয়
কোনো উত্তর পায় না।
তার চলায় অঙ্গীকার,
তার কথায় বিদ্রুপের ধার—
কিন্তু জানো কি?
সেসব মুখোশের আড়ালে লুকানো
একটি ভাঙা মন,
যা নিজেকে আড়াল করে
পৃথিবীর তীক্ষ্ণ তির থেকে।
তাকে অহংকারী বলো,
কারণ সে হাসে না,
কিন্তু কী জানো?
তার সেই নীরবতা
একটি যুদ্ধের গল্প।
নিজেকে হারাতে হারাতে
সে দাঁড়ায় মজবুত প্রাচীর হয়ে।
তার অহংকার মানে নয় তুচ্ছতা,
তার অহংকার এক প্রতিরোধ—
সমাজের চোখে, কথার বিষে
বেঁচে থাকার শেষ উপায়।
তাকে দেখে যদি লাগে কঠিন,
জেনে রেখো, তার ভিতরে
কত না কোমল ফুল ঝরে গেছে।
অহংকারী সে-ই মেয়েটি,
যার প্রতিটি পদক্ষেপে জেগে ওঠে
একটি ইতিহাস,
যে অহংকারের ভেতরে লুকিয়ে রাখে
একটি পৃথিবীর সমান দুঃখ।