আজি হতে শতবর্ষ পরে,
যখন পৃথিবীর বুকে আর থাকবো না আমি,
তখনও কি থাকবে এ পথে পদচিহ্ন,
যেখানে স্মৃতিরা বাঁধবে নতুন স্বপ্নের নীড়?
শত বর্ষ পরে যখন শুষ্ক পাতার মর্মরে
মিশে যাবে আমারই ফেলে যাওয়া শব্দমালা,
তখনও কি কোনো চাঁদনী রাতের নীরবতায়
তুমি শুনতে পাবে আমার অন্তরের ব্যাকুলতা?
সময়ের স্রোতে ভেসে যাবে যত স্মৃতি,
তবু কি রবে আমার কোনো একাকী গান,
যা কখনো কখনো ঝরে পড়বে চোখে অশ্রু হয়ে,
শতবর্ষ পরে নীরব বিষণ্ণ সন্ধ্যায়?
তুমি যদি শুনতে পাও সেই সুরের ধ্বনি,
জেনো, সেই আমি—তোমার অপেক্ষায় চিরদিন,
যেখানে প্রহর শেষ, আবার শুরু হয়,
অমরত্বের অতল গহ্বরের নির্জনতায়।