(শ্রমজীবী নারীর করুণ কাহিনী)

শহরে নগরে গ্রামে গ্রামান্তরে
নতুন কি বলি
সবকিছু জানোই তো তোমরা।
কবি, দিগ্গজ, বিদ্বজ্জনেরা,
নেতা ও কর্মী, সমাজসেবীরা
লিখে গেছে ঝুড়ি ঝুড়ি
মিথ্যের ফুলঝুরি।
যুগ যুগান্তর কেটে গেছে কতো
বিচার পাইনি আমরা
আমরা নয়নতারারা।
*  *  *  *
আসলে কাব্য করতে মন চায়
কারণ, কাব্যের কাবাবের সাথে
কারণ সেবনে অভ্যস্ত তোমরা।
তোমাদের বেডরুমে আমরা, ‘নয়নতারারা’।
*  *  *  *
আসলে আমি মাইনে করা বাঁদি
সবাই বলে ‘কাজের দিদি’।
সকাল গড়িয়ে দুপুরে,
দুপুর গড়িয়ে বিকেলে,
পান থেকে চুন খসলে,
ডাক পড়ে আমার।
টেবিল বেঁচে যাওয়া উচ্ছিষ্ট খাবার
মা-বেটায় নিঃশেষে করে দি সাবাড়।
*  *  *  *
আহা! আহা! বৌদিমণির কি দয়া,
ফেলে দেওয়া শাড়ি, কামিজ, শায়া,
বলে, ‘নিয়ে যা বাড়ী’।
কত দামি অন্তর্বাস!
বলতে তবু দ্বিধা হয়।
বুকে চেপে দীর্ঘশ্বাস,
দাদা বাবু একটা একটা করে
খুলে দেয় নির্জন দুপুরে।
বৌদিমণির দেওয়া শায়া, কামিজ, শাড়ি,
অত দামি অন্তর্বাস,
বুকে চেপে দীর্ঘশ্বাস,
ফিরে আসি বাড়ী।
*  *  *  *
গতর খাটিয়ে খাই,
গতর বেচেও খাই আমরা।
নয়নতারা’রা।
----- o -----