----প্রতিকি বিম্ব

==কাকতাড়ুয়া

সর্ষেক্ষেতে দাঁড়িয়ে এক ভূত
ডাগর নাকে ডরা কাটা চোখ, মুখটি ভারি ভয়ের গো
কাকতাড়ুয়া হাঁড়ির গায়ে চুন কালি মেখে।

একটি পাখি যেই বসেছে
কাকতাড়ুয়ার ঘাড়ে, সর্ষেক্ষেতের ঘাস ফড়িং লুকিয়ে যায় ঘাসে
কত কত ফড়িং ঝাঁক হাওয়ায় ভেসে উড়ে।

যেই ছুটেছে ভুতু সোনা সর্ষেক্ষেতের মাঝে
ভুত ভেবে কাকতাড়ুয়া ছুটছে পিছন ফিরে, আরো ছুটে প্রজাপতি ফড়িং
মেঠো পথের কোল ঘেঁসে।

===প্রতিকি বিম্ব

কাকতাড়ুয়া প্রতিকি বিম্ব
দাঁড়িয়ে থাকা রস নেই বটে; সুবোধ সঙ সেজে
ঢঙ এর আমুদে রাঙায় খাসা; সে ঢং এ প্রতারণা ভারি
বসিবার ঠাঁই পাখপাখালির।

পথিক তাকিয়ে কাকতারুয়ার পরশ খুঁজে
সেও দাঁড়িয়ে যায়; একটু পথের ক্লান্তি রসে
জিরয় বটে ঘাসের পরে; একান্ত দৈন্য বিবর একলা
সুবোধ ঠাই দাঁড়িয়ে খসে পড়ে।

চোখাচখিতে পথিকের চোখ নুয়ে পড়ে
ভাঙা কাঁচ ঘুঁসে চেয়ে দেখে ফের; সে কি সু-চতুর চাহনি?
অতীত পথের যৌবন কাঁপিয়ে দেয়; রাঙা দিবা স্বপ্ন বটে
নেতিয়ে বসে সবুজ ঘাসের পরে।

====প্রেম খরার নেশা

প্রেম কি তবে কাকতাড়ুয়া? মুখোশ ঢেকে থাকে
চরা চোখে দেখে শুধু ভিরে তরী কোন ঘাটে!
কারো উঠানে আষাঢ়ের ঝমঝমাঝম বৃষ্টি,
কেউ বা পুড়ে চৈত্র খড়ায় অমানিশায় দিন রাত্রি;
প্রেম বিরহের এমনি খেলা কাকতাড়ুয়ার মতো
সবুজ মাঠে উতল হাওয়ায় দাঁড়িয়ে শুধু সম্মুখ পানে!

পথিক পুষে কাকতাড়ুয়ার মন
পথে পথে ঘুরে ঘুরে নানা পথের দিশা নিয়ে
আঁধার রাতের মগন ঘণ তন্দ্রায় জেগে উষ্মাগুনে;

কোন সে পথের তাড়া পথিক মনে?
প্রেম কি ফিরে সেই ক্ষণে? কাকতাড়ুয়ার বাসর গেল ঘোরে
পথিকের এবার ঘোর কেটে যায়; প্রেম খরার নেশা।

১৪২৫/ কার্তিক/ হেমন্তকাল।