=====বাদল ঘন বরিষণ

কোথায় কোন খাঁজে মেঘেদের চাতালে
চুপি চুপি জমেছিল প্রেম,
আধেক ক্ষয়ে যায় হাওয়ার পরশ বুলিয়ে
শীতল র্শীণ বর্ণহীন কবিতার মতো
প্রাণ যে ছুঁয়েছে তায়।

প্রাণ-অপ্রাণ মিলিয়ে বাদলে বরিষণ
আমারে তোমারে আঁকিয়েছে নিত্য ভিজিয়ে
আঁধার অভিমানে,
কে তুমি আমারে নিলে জলের আভরণে!
ভিজিয়ে প্রেম অমিয় দিলে
আপনি আপন।
এ প্রেম স্বচ্ছ জলের বিবর! অপার দান, শুন্যলয় তবুও
শ্রাবণ বাদল। চায় আমারে তোমারে
জনম জনমের তরে।

আষার বাদলে,
শ্রাবণ ফিরে বারে বারে বর্ষায়
রিম ঝিম রিম ঝিম বরিষণে।
বিরহ পোরায় তোমায়, বরিষণ ভাবায়
নির্মোহ রোদনে। কতক শ্রাবণ দিয়ে ছিল প্রেম!
স্বপ্ন ডিঙ্গায় ভাসিয়ে, আমারে তোমারে ভালবাসিবার।

মেঘ ফুরাইলে,
অভিমান কুরাইয়ে বিরহে পুরে শ্রাবণ বাদল
তোমারি মতো নিঃস্ব মেঘ দল দিগন্তে পারে
অভিমানে ঘুরে।

ফেরারি আকাশ চেয়েছিল সেদিন
বাদল ঘন বরিষণে। আঁধার ঘনালে অভিমানী চাঁদ
জোছনা বিলায় আহ্লাদে। জলের স্ফটিক।
দক্ষিণের ঝুল বারান্দার কার্নিশে তোমার
ফিরে ফিরে শ্রাবণ বাদল হানা দেয়,
তব প্রেম শীর্ণ লতায় লজ্জাবতীর পরশে।

কাক ভেজা দুপুর ফিরে এলো
ফিরলে না তুমি আর! এমন শ্রাবণ বাদলে
আমলকীর বনে সোদা মাটির গন্ধ ভাসে
জোনাক জ্বলা সাঁঝে ফিরে এলো হুতুম পেঁচার দলে
ফিরলে না তুমি আর! এমন শ্রাবণ বাদলে

আজ ৩০ আষাঢ় ১৪৩১