পুষ্পমাসি
চারণকবি বৈদ্যনাথ
........................................................
দেখনহাসি পুষ্পমাসি তোমায় পড়ে মনে
বেশ কিছুদিন কাটিয়েছিলুম শান্তিনিকেনে।
তুমি তখন পুতুল ছিলে, তুমি তখন কাদা
তোমার ছবি বানিয়েছিলেন রামকিংকর দাদা ।
নাচতে ভালো রবীন্দ্র-নাচ, কণ্ঠ ছিল ভালো
আমার চোখে তুমিই তখন - 'আলো আমার আলো'
সে চোখ আজো পুড়লো না গো, সে মন পুড়ে নাকো
এখন ঠিক আগের মতােই জড়িয়ে তুমি থাকো
জড়িয়ে থাকো এই শরীরে, ছড়িয়ে থাকো মনে
খুঁজে বেড়াই যখনই যাই শান্তিনিকেতনে ।
পাতিয়েছিলুম দেখনহাসি, মিষ্টি ঠোটের হাসি
ওই হাসিতেই গলায় নিলুম হয়তো প্রেমের ফাঁসি
প্রেম জানিনে, প্রেম বুঝিনে, সঙ্গ শুধু বুঝি
সঙ্গ পেতে পুষ্পমাসি তোমায় আজও খুঁজি।
শাড়ির চেয়ে শরীর তোমার দারুণ মরি মরি
আমার চোখে তুমিই ছিলে সুন্দরী..সুন্দরী।
আমার বয়স বাইশ তখন, তোমার সাতাশ হবে
সে সব বয়স পেরিয়ে গেছি আমরা দুজন কবে
আমার মাকে ডাকতে দিদি - আপন বোনের মতো
মায়ের মুখে শুনতে বসে লক্ষ্মীপুজার ব্রত।
মাঠের পরে মাঠ হেঁটে যাই কোপাই নদীর ধারে
আমরা দু-জন হারিয়ে গেলাম হঠাৎ অন্ধকারে
হারিয়ে গেল দেহ আমার এবং তোমার দেহ
সে সব কথা গোপন কথা জানতো নাকো কেহ
জানলো যেদিন সেদিন থেকেই বন্ধ হলো বাড়ি
এবং হলাে তোমায় আমায় সারা জনম আড়ি
আমিও এলুম কোথায় এবং তুমিও কোথায় গেলে
দেখনহাসি পুষ্পমাসি দুষ্ট মেয়েছেলে।
যেখায় আছ সেথায় বসে আমায় মনে পড়ে?
তেমার কাছে যাবোই যাবো মোষের পিঠে চড়ে।।