যাতায়াতের পথেই পড়ে গাড়িটা
গাড়ি বললে যেমন বোঝায়, ঠিক তা নয়
তিনটি চাকা আছে তাই, আসলে ভ্যানরিক্সা
চলে ক্বচিৎ, বেশি সময় ঠায় দাঁড়িয়ে কেটে যায়।
একদা চকচকে নতুন চাকায় ক্রমে
হাওয়া কমে যায়, পাটাতনের নিচে ঝুল জমে,
হ্যান্ডেলে মরচের খয়েরি ছোপ জাগে।
বছর বিশেক আগেও এখানে থাকত, এভাবেই
আগে দুপুরে খেটো ময়লা ধুতি শুকোতো
তার গায়ে লেপটে থাকতো পাশে ভেজা ময়লা শাড়ি।
একসময় শাড়িটা বিদায় নিল অনন্তের পথে
এল একটা শালোয়ার, কখনও কামিজ
কখনও শুকতো লুঙ্গি, ফুল প্যান্ট
তারপর কিছুদিন সেখানে শুকলো
ছোট্ট ইজের, রঙীন ফ্রক।
এখন আবার একটা খেটো ধুতি আর
আর হলুদের ছাপ লাগা শাড়ি সেই জায়গা দখল নিয়েছে।
সময় কত দ্রুত এগিয়ে চলেছে নিউ ইন্ডিয়ার দিকে।
শুধু লোহার কাঠামোর কঙ্কাল,
ভালবাসার আলিঙ্গনে যার চাকাকে জড়িয়েছে
তেলাকুচা আর আগাছার লতা
বেকার হয়ে যাওয়া ভ্যান রিক্সা আজও দাঁড়িয়ে।