আমার বন্ধু রুখসানা কাজল লিখেছে---
"স্বপ্ন দেখ। জেগে , বসে, দাঁড়িয়ে , ঘুমিয়ে। স্বপ্ন দেখা শেষ হলে মানুষ শব মাত্র। ভেজাল আছে বলেই ত খাঁটির এত খোঁজ । সাহস হারিও না। তবুও বেঁচে থাকো। রমনে, রমণীতে, ভালোবাসায়,ঘৃনায়, জিঘাংসায় জেগে থাকো। অনাহারী শিশুর হাতে চুমু খাও। জীবনের ক্ষুধা গন্ধ পেয়ে যাবে। বাঁচার সংগ্রাম আসবে মনে । আমি ত স্বপ্ন কাতর মানুষ এক। ব্যাকুল বিপুল স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে আছি। একটি লাল ঘর,দুরে ঢেউ খেলানো মধুমতি , দুধ জ্যোৎস্নায় ভেসে যাওয়া প্রান্তরে এক অচিন ডাক পিয়ন চিঠি ফেলে গেল লাল ঘরে। তাতে লেখা, থেমো না। তুমিও থেমো না।"
আমি এর কি উত্তর দেবো?
আমার যা মনে এল লিখেছি। আপনাদের সঙ্গে সেটা ভাগ করে নিচ্ছি, আলোচনাকে একটু জোরালো করার লোভে...
আমি লিখলাম............
এই জন্যেই বলে, একটা ভাল বন্ধু থাকা দরকার।
আরে স্বপ্ন ছাড়া বাঁচবো কি করে। শয়নে, স্বপনে, নিশি জাগরণেই স্বপ্ন আজও বাচিয়ে রাখে। শানের শীষে, নদীর ঘোলা জলে, পাটের ক্ষেতে, চটের বস্তায়, টুন্টুনির ঠীটে, দোয়েলের শীষে -- স্বপ্ন, শুধুই স্বপ্ন।
আমার স্বপ্ন তুলসিতলার তসবি মালা ছুঁয়ে ক্রুশের কাঠে জড়িয়ে থাকে
আমার স্বপ্ন নিশুতি রাতে কুয়াশাঘেরা আধেলা চাঁদের গন্ধ মাখে
স্বপ্ন আমার মাটির নিচে বীজের পাশে বাতাস বেয়ে চুপকথা কয়
স্বপ্ন আমার মদির রাতে প্রিয়ার শরীর কর্ষণ করে আলো ছড়ায়...
-- না বন্ধু থামবো না, কথা দিলাম... চলা মানেই তো জীবন, আর থামা মানে মৃত্যু। মৃত্যু আমার বড় প্রিয়, কিন্তু এত সহজে তাঁকে জিততেও দেব না।
তোমার লাল বাড়িটা যে এখনও তোমাকে চায়। আমার কাস্তের মুখে যে এখনও ধানের গন্ধ লেগে আছে। এখনও যে আমরা আক্টা সমবায়ী সমাজ দেখতে পাই নি। সবচেয়ে সুন্দর শিশুটার গালে চুমু খাইনি। সবচেয়ে সুন্দরী নারীর শরীর এখনও সেই কাংখিত ফুল ফোটায় নি।
এখনও যে ধানবোঝাই নৌকা রাতারাতি পেরিয়ে যায় কিষাণের ভিটে...
জমিদারের হাত এখনও কিষাণীকেও তাঁর ব্যক্তিসম্পদ মনে করে
চিম্নির ধোঁয়ায় এখনও মালিকের মনের কালো বাতাস্কে বিষাক্ত করছে...।
এসো, আমরা হাত ধরি...
আমরা রুখে দাঁড়াই...
আমাদের মিলিত প্রয়াসে ঝলমল করুক রাতের চাঁদ, দিনের সূর্য...