কি ভেবে যে একটুকরো আকাশ দিলে দান
ভাসিয়েছিলে একটুকরো মেঘলা অভিমান
আমি তখন মেঘবালক, কাশের বনে ছিলাম
আকাশ পেয়ে বাতাস বেয়ে শূন্যে উড়াল দিলাম
হারিয়ে পাওয়া অচিন হাওয়ার গোপন তৃষ্ণায়।
তারই সাথে পাখির মিষ্টি সুর যেন কে মেশায়!
এলে আবার হঠাৎ খানিক তাপে শুকনো মাটি
আমি তখন বাষ্প শুষে বেজায় পরিপাটি
তোমার বুকে মধুর সুরে ফসলের আদিপাঠ
মন্ত্র বাজছে আশিরনখর গুঞ্জরিত মাঠ
তাপ উঠছে মেঘের পানে, চোখে বিজলি হানা
বুঝে নিলাম, শ্রাবণধারায় নামায় নেই তো মানা।
শুকনো জমি সরস হল, বুকের চণ্ডীপাঠে
বীজ বুনছে মরমী চাষা, হাল চষেছে মাঠে
ক'দিন পরে ধানচারাদের জলের উপর মাথা
বেঁচে থাকার কী দুর্জয় নিগূঢ় প্রণয়গাথা
আঁচল জুড়ে ধানের বন্যা, স্বপ্নদেখার কাঁকন
শষ্যভূমির বন্দনা গান মেঘের উড়োগমন
এক টুকরো রাই শষ্য, আকাশ তাহার নাম
হৃদয়জমিন সিংহাসনে পেয়েছি সেই ধাম।