যাই
চলে যাই
যাই যাই যাই..  কোথা কিছু নাই...  যাই
নীলের গভীরে হারাই... যাই
যাই। দূরে যাই... যত দূরেই যাই

যাই, তবু
এসেছিলে কেন শুধাই...  
যাই, কিন্তু কার কাছে যাই?
কার কাছে যাওয়া ভাল ভেবে তো দেখি নাই!

এখনও আকাশজুড়ে নীলের নীলিমায়
স্বপ্নেরা ভেসে যায়, দিগন্তে ভেসে যায়
লোভগুলি দূরে ছুঁড়ে ফেলে রেখে যাই
এসো পা মেলাই...
সবুজ বনানীতে আছে প্রাণের নির্যাস
তার কাছে নিঃস্বতার বোধ নিয়ে যাই

জীর্ণ বসনটুকু এখনও বাকি আছে
রোগ মৃত্যু জরা দেখে আর ভয় নাই
চিবরে লিখেছি ত্যাগ।...  যাই

ভুলগুলি কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে
পারি যদি, এসো শোধরাই।
সবুজে আর নীলের গভীরে হারাই...
যাই  যাই  যাই।

চলে যেতে যেতে কোন অচিনপুরে
সহসা চমকে উঠি জীবনের গরিমায়
ঘাসে মাঠে নীলাকাশে স্বপ্নেরা গান গায়
পাথরেও প্রাণ জাগে সুরের মূর্ছনায়।

তারাভরা অন্ধকারেই ফুটে ওঠে কত ফুল
অন্ধকারও কেটে যায় পাখি যদি গান গায়

সুর ধায়... তান ধায়...
বাণী তারে ছুঁতে চায়
মৌপিয়া অলি সনে কথা বলে কানে কানে
জ্ঞানের পিপাসায়
আলোর খোঁজে যায়
কে যেন আঁধার পেরিয়ে হেঁটে যায়
চিবরে গৌর দেহ ঢাকা নাহি যায়।

যেতে যেতে যেতে যেতে
সে পরিব্রাজক বলে যায়
আয়... আয়.. চলে আয়

(বুদ্ধচেতনার গল্পগুচ্ছ উদ্বোধনের পর ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের বাঁশিতে শ্রী রাগ শুনে)