সারা দিন সাগরপাড়ের নুড়িগুলি সরিয়েছে এদিক থেকে ওদিক, তবু কোনওদিকে টাল খায়নি পৃথিবী। দুরন্ত বালকের মতো ঢেউ এসে ভেঙে দিয়ে গেছে খেলাঘর।
পৈতা আর তসবিমালার দ্বন্দ্বে রক্তের আলপনা ফুটেছে হাহাকার হয়ে। গুমরানো কান্নার পর ফের সূর্য একটা ভোর এনে দিলে কুঁড়িগুলি ফুল হল, প্রজাপতি উড়ল, রাতে শিশিরকণা।
'তেমন করে ভালবাসতে না পারা' অভিযুক্ত ছেলেটা পরদিনও কাজে গেল, ঘর্মাক্ত শরীরে হেসে উঠল বন্ধুদের সাথে, গাইল গান। মাঝে মাঝে সবার অলক্ষ্যে ধুয়ে নিল চোখ।
অথচ, ভালবাসা নিজেই নিজের বুকের রক্তাক্ত ক্ষতে সময়ের মলমের প্রলেপ দিল, মায়ার আঁচে সেঁক। অনুভবের আঙুল দিয়ে নেড়ে দিল অভিমানের ঠোঁট।
কেবল, 'তেমন করে ভালবাসতে না-পারা' মানুষটার প্রস্তরীভূত বুকে শ্যাওলা জমে জমে জন্ম নিল ব্যাথার নদী - যার জামরঙা পার বেদনায় নীল।