এক অদ্ভূত নগরীর পথে পায়ে পায়ে হেঁটে যাই
এখানে ঘাস নেই, গাছ নেই, ফুল কিংবা পাখি
সব কেমন নিশ্চিন্তে মরে আছে রাস্তার দুপাশে।
ঘর বাড়ি, কুড়েঘরে সব যেন আধপোড়া ছাপ।
পড়ে থাকা ধর্মগ্রন্থে রক্তের দাগ, আগুনের দাগ
মানবতা ছাই হয়ে ওড়ে হুঙ্কারী হণন বাতাসে,
হিমেল রাত নিজেকেই সেঁকে অবিশ্বাসী আগুনে
দলিত চামড়ার পোড়া গন্ধে ম-ম অসহিষ্ণু রাত।
অশ্রুহীন চোখ, নীরবে কেঁদে যায় সর্বংসহা ভূমি।
এভাবেই নাগরিক বেঁচে থাকে বেকারত্বভূমে
মাতৃদুগ্ধে মিশছে খাদ্যে মেশা প্রযুক্তির বিষ
শিশুরা জন্মায় অপুষ্টিতে মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে।
বন্ধ কারখানা অফিসে পোড়া পোড়া মানুষ,
নগরীর নরনারী বোনে পোড়া সম্পর্কের জাল।
প্রেমের গহীনে বোনে লাভ জিহাদী অগ্নিশিখা।
কারও হৃদয়ে ভুল করে জন্মালে প্রেম তৃণভূমি
দগ্ধ নগরী তা শুদ্ধতায় দাহ করে ক্ষিদের আগুনে।