রুক্ষ সুকনাগড় থেকে শ্যামল সবুজপুর
কতকাল হেঁটে গেছি রাতের অন্ধকার চিরে।
বাতাসকে বলে রেখেছি - শব্দ নয় একটুও।
গাছের পাতাদের অচঞ্চল থাকার নির্দেশ
ফিসফাসে কথা বলাও চলবে না এটুকু কাল
আমি দেখতে চাই সেই অদেখা মুহূর্ত।
তুমিও তো আমার সঙ্গে হেঁটেছ সে সময়
পাহাড়তলীর আঁকাবাকা পথ অবলীলায়!
সরে গেছে পার হয়ে আসা দেশ মহাদেশ
সাগরের ঢেউ এসে মুছে দিয়ে গেছে রোজ
ফেলে আসা পদচিহ্ন। বিশ্রান্ত বিকেলের পর
রাতের অন্ধকার চিরে ফের চলা শুরু।
চোখের সামনে দিয়ে বয়ে গেল আদিম সমাজ,
রাজাদের দাপটের কাল, পরস্পর যুদ্ধবিগ্রহ।
যন্ত্রের জন্ম থেকে কাঙাল আর টাকার কুমীর
হাঙরের হা-মুখ আর বঞ্চিতের জীবনসাধনা।
কত লড়াই, রক্ত-অশ্রুপাত, সাম্যের গান---
তবু আজও ইপ্সিত ক্ষণের অপেক্ষায় যাপন।
দেখতে চাই কতটা নির্জনে হয় বীজের গর্ভাধান।
কর্ষণে-সেচে-তাপে কতটা উন্মাতাল হলে
বীজ থেকে, শিকড় থেকে দু হাত জোড় করে
জন্ম নেয় সবুজ চারা!
আমার সাথী হয়ে দেখতে যাবে, ঋ?