প্রবল বৈশাখ মানে
দুটি তাপদগ্ধ শরীরের প্রেমের ভাবনা।
গ্রীষ্মের একটি দুপুর নামে,
ধীরে ধীরে তাপ ব্যাপ্ত হয়
একটি বালুকাবেলার মতো,
পারদ বিস্তৃত হয় তাপাঙ্কের উচ্চসীমা ধরে--
সাদা কাগজ টেনে নিয়ে খসখস করে লিখে ফেলি
তোমার সাথে একান্তে
বৈশাখী দুপুর যাপনের একটি আর্দ্র কবিতা।
গোটা মুহূর্তটিই যেন কবিতা।
কবিতা জুড়েও ছড়িয়ে পড়ে
তোমার উষ্ণ ও নিরাবরণ দেহত্বক নি:সৃত হলকা, যা অবকাশ যাপনের মুহূর্তে প্রথম সংক্রামিত হয় তোমার শরীর থেকে আমার শরীরে,
তারপর ক্রমশ আমাদের আদরমাখা বিছানার চাদর, বিছানো নরম ম্যাট্রেস, অবশেষে গোটা খাট, ঘরের পাথর বসানো মেঝে ও মসৃন দেওয়াল বেয়ে উঠে যায়
ফুল স্পিডে ঘুরতে থাকা ওপরের সিলিং ফ্যানে।
সেখান থেকে উষ্ণতার পুন:সংবহন হয় আবার;
কবিতার গা বেয়ে
তোমার যে শরীর উষ্ণ ও অনাবৃত, তা-ই
তাত ছড়ায় আমার আসঙ্গলিপ্সু প্রতিটি দেহকোষে। গোটা মুহূর্তটিই যে তখন কবিতা।
এই বৈশাখের একটি দুপুর কাটে তোমাকে নিয়ে আর আমার কবিতার সাথে।