তোমার মধ্যে জন্ম নিক শহর দেখার ঘোর--
অসম্ভব তীব্র চোখ জ্বালা করা রোদ্দুর,
মুষলধারে বৃষ্টি
আর হাড় কাঁপানো তুমুল ঠান্ডার দিনেও
সবকিছুকে উপেক্ষা কর তুমি।
এখানে জীবন পশরা সাজায় সূর্যোদয়ের সাথে
গভীর রাতে রেখে যায় সে
সঙ্গে যাওয়ার হাতছানি।

তোমার সাথে লিপ্ত হোক শহর দেখার ঘোর--
আমাকে তুমি বুঝিয়ে ছিলে
এ শহরে প্রতীক্ষায় সময় কাটে মিনার্ভার নিচে,
কলেজ স্ট্রিট আর হেঁদুয়ায় ঘুরেফিরে
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত ঠাণ্ডা ঘরে
জুটে যায় অবশেষে ছুঁয়ে দেখার অবসর।
সেই কোন সাতাশ বছর আগে।

আজও এই শহর জাগে সূর্যোদয়ে
আর সঙ্গে যাওয়ার হাতছানি দেয় প্রবল মধ্যরাতে।

হয়তো পেরিয়েছ বসন্ত, তবু ঘাম ঝরুক পথে নেমে
তোমার চোখে আবার লাগুক শহর দেখার ঘোর।

মাঝে মাঝে কোনো মধ্যরাত পেরোনো সত্যি জাগরণে
শ্রান্ত চোখে ভেসে আসে সাতাশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া তোমার মুখ,
শহরের কোলাহলে কোনোদিন
কোনো শপিং মল বা মাল্টিপ্লেক্সে
যদি পেয়ে যাই তোমাকে--
আরো একবার ভালোলাগা ঘিরে আসবে
আমার আর এই পুরোনো না হওয়া শহরের মাঝে।

এদিকে শহরের বয়স বাড়ে না কোনো মতে।