বর্ষার ধারাপাত মিটেছে আজ
মৃত্তিকা সিক্ত ও রসময়
গাছের পাতায় শোনা যায় টুপ টুপ জল পড়ার শব্দ।
বিকেল গত হয়েছে অনেকক্ষণই হবে ,
সন্ধ্যাও সংক্ষিপ্ত পরিক্রমা শেষে
রাত্রির প্রশস্ত আঁচলে নিবিড় লীনতার সন্ধানে --
এভাবেই রাত্রি নামে
অন্ধকারের চাদর বিছিয়ে । এই বর্ষা ঋতুতেই ।
আমিও মধ্য যৌবন শেষ করে
রাত্রির নীরবতা খুঁজি
বেশি বয়সের প্রেমে যে এত বেশি আচ্ছন্নতা--
তা কে জানত !
অন্ধকার ক্রমে ক্রমে সংক্রমিত হলে
চেতনার শরীর নিভৃতির সন্ধান করে ।
ক্লান্তি নয় , শিথিলতা নয় ,
একটা বয়সের পর
মনেরও শ্লথ হতে ইচ্ছে করে ।
উদ্ভিন্নযৌবনা নারী , শরীরের তরল সুখ --
সেসব দিন আর বিগত বয়স আজ ইতিহাসের পাতায় সাক্ষী যেন ,
রক্তের স্পন্দন তখন হৃদযন্ত্রটি জুড়ে , প্রশ্বাস ও নিশ্বাসে এবং বিন্দু বিন্দু ঘামে ।
সেসব বর্ষাময় দিন , বৈকালিক সন্ধ্যা আর রাতের তরঙ্গময় জীবনে
কোথাও কোনো অন্ধকার আর নির্জনতা খোঁজার প্রয়াস ও অবকাশ ছিল না ।
এত প্রাচুর্যের পরও তবু আজ হৃদয়ে যেন কীসের অভাব --
শান্তির ?
হবেও বা হয়তো !
নিস্তরঙ্গতা যে ধীরে ধীরে এত প্রিয় হয়ে ওঠে এ বয়সে--
তা সেদিনও জানা ছিল না ।
মনেরও অবকাশ চাই , প্রশান্তি ও নিরাময় চাই , সান্ধ্যসুখ চাই --
নীড়ে ফেরা পাখিদের মতো ,
এবং অবশেষে শীতলতা চাই ।
কবিতা ভীষণ প্রিয় , প্রিয় হোক আবেশ
চাহিদাময় জীবনের সারাৎসারে
কবিতার জন্ম হলে
সুরা-সান্নিধ্য সৃষ্টির বীজ বোনে --
নারী তুমি ছিলে ,
তবু তোমার যুগান্তের মুখচ্ছবির প্রতি আজও তাকিয়ে থাকি অনিমেষ --
শরীর না মন , এই সংঘাতের উত্তর খোঁজার
সদর্থক কোনো প্রচেষ্টায় ।
শরীরের বয়স হয় , লুকোছাপা অনর্থক , মন চিরযৌবনা।