তোমাকে লিখেছিলাম
কোনো একসময়
অক্ষর ও শব্দ বিন্যাসে,
বাক্য গঠনের নিমিত্তে নয়
প্রেমের নৈবেদ্য সাজিয়ে
পাখির হৃদয়ের মতো
ধুকপুকানি জুড়েছিলাম তাতে--
গড়েছিলাম তোমাকে নিজে হাতে !
আমার কবিতা
তখন আরেক নদী--
তার শিরা-উপশিরায় কুল-কুল শব্দে তুমি
স্রোত হয়ে বয়েছিলে !

তারপর মোহনার কাছে পৌঁছনোর আগেই নদ হয়ে স্রোত হয়ে তুমি বেছে নিলে একদিন অন্য গতিপথ--

আমার কবিতার শিরা-উপশিরাপথে এতদিন বয়ে চলেছিল যে নদী, সঙ্গত কারণেই  তা আজ
স্যাটেলাইট মানচিত্রে
কোনো শুকিয়ে যাওয়া নদীর চিহ্নস্বরূপ ,
কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্ষীণ হয়ে আসা হৃদস্পন্দনে রয়ে গেছে অবিকল সেই এক ধুকপুকানি ! এবং মোহনার অনতিদূরেই । কী অসম্ভব বৈপরীত্য !  এক নদী শুকিয়ে যায় যখন আর এক নদ পূর্ণ স্রোতে অন্য পথে চলে !

শিরা-উপশিরা জুড়ে অক্ষর শব্দ বাক্যে ফিকে হয়ে আসা পুরোনো কবিতার গোটা শরীরে প্রেমের ব্যর্থ নৈবেদ্যখানি এবার বড়ো চোখে লাগতে শুরু করে !