ধরে রাখা যায় না
তাই আমার কবিতার শ্রাবণ চোখে ঝরুক জল
রাস্তা হোক তরতরিয়ে তাতেই স্রোত-পিছল।

হাওয়া দিচ্ছে বড়ো বেসামাল
সামলে রাখতে হও না কেন তবু দামাল
মনকে কর শুধুই অনুমান
তার নেই ঠিকানা, তবে আছে কিছু মান আর অভিমান।

ভেসে যাও আদরে ও বিহারে
এই স্রোতের বিমুখে তাই নাই বা ফিরলে
যদিও দুর্যোগ প্রবল মাথার ওপরে
নৌকো ছেড়েছ তবু ভীষণ শুভক্ষণে
শ্রাবণ এখন যে সবে মধ্য যৌবনে।

ঢেউয়ে ঢেউয়ে জীবন্ত সঙ্গমে
শরীর ডুবেছে তৃপ্তির রসায়নে,
উদ্ভ্রান্ত শ্রাবণী সব নিয়মভাঙার মূলে
অকৃপণ ধারাবর্ষণে মুছে গেলে সব বেড়া
ওই সিঁথির সিঁদুরের সাথে,
ভুল করেও তবু দুটো মানুষ
শুধু ভালোবাসার বীজ বুনে চলে।

ফি-বছর আসে এই সময়টা
যেন সত্যিই এ এক সর্বনেশে।