বেশ কিছু নাছোড় প্রেমের কবিতা লেখার পর
মনে হল এবার এখানে থামা দরকার ।
যাকে নিয়ে লেখা সে অনেক বেশি
অফিস, ঘরকন্না, সন্তানের লেখাপড়া, অসুখ-বিসুখ, বাজারহাট নিয়ে ব্যস্ত ,
বিশেষ কারণ ছাড়া তার কোনো প্রতিক্রিয়া থাকে না
এ ব্যাপারে সচরাচর ।
তবু বছরের পর বছর
একভাবে
স্থিরভাবে
চারপাশের এত আন্দোলন ও প্রলোভন
ধর্তব্যের মধ্যে না এনে
শুধু অনুচ্চারে সময়ের প্রতিটি পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হওয়ার পর --
সে আজও একইরকম ।
অথচ তার বাড়ির সামনে লাল কৃষ্ণচূড়ার গাছটা আজও আছে । প্রতি চৈত্র-বৈশাখে ফুল ফোটে । রঙ ছড়ায় শরীরে ও মনে ।
আমি তার এই সাদামাটা উপস্থিতির নাম দিয়েছি -- অন্তরদর্শন ।
সারাবছর জুড়েই সে এইরকম ।
কৃষ্ণচূড়াও ব্যর্থ প্রেমিকের মতো --
তাকে জাগাতে না পেরে ফিরে যায় বছর বছর ।
এই নিমগ্ন তাপসীকে কবিতায় তুলে ধরা সত্যি বেশ সাধনার কাজ । তুলনায় অনেকবেশি ঘরমুখী হতে হয় কবিতাকে ।